সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস কিনতে লাইন দিয়ে অপেক্ষায় ক্রেতারা। গতকাল সকালে রাজধানীর শাহজাহানপুরের খলিলের মাংসের দোকানে
সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস কিনতে লাইন দিয়ে অপেক্ষায় ক্রেতারা। গতকাল সকালে রাজধানীর শাহজাহানপুরের খলিলের মাংসের দোকানে

১০ বছরে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ১৫০% 

এক দশকের ব্যবধানে দেশে গরুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬%। তবে তা দেশীয় চাহিদার পুরোটা মেটাতে পারছে না।

এক দশক আগে একজন মানুষ বাজার থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস কিনতে পারতেন। এখন এক কেজি গরুর মাংসের জন্য খরচ করতে হয় অন্তত ৭৫০ টাকা। অর্থাৎ ১০ বছরের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ১৫০ শতাংশ। 

অথচ সরকারি হিসাব বলছে, দেশে গত এক দশকে গরুর উৎপাদন বেড়েছে। গরু-ছাগল-মুরগিসহ সব ধরনের মাংস উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, গরুর মাংসের দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে কেন? বিষয়টি নিয়ে তিনজন প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকা এবং কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় গরুর উৎপাদন বৃদ্ধি না হওয়ায় মাংসের দাম বেড়েছে। অবশ্য গরুর মাংস বিক্রি করা ব্যবসায়ীরাও অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে সরকারের তদারকিতেও ঘাটতি আছে। 

ক্যাবের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ছিল গড়ে ৩০০ টাকা। ২০১৫ সালে তা বেড়ে হয় ৪০০ টাকা। তার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর দাম বেড়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ছিল গড়ে ৩০০ টাকা। ২০১৫ সালে তা বেড়ে হয় ৪০০ টাকা। তার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর দাম বেড়েছে। ২০২১ সালে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয় প্রায় ৬০০ টাকায়। 

অন্যদিকে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, ২৯ মার্চ (গতকাল শুক্রবার) ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। অর্থাৎ ২০১৪ সালের তুলনায় এখন গরুর মাংস প্রতি কেজি ১৫০ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। 

দেশে গরুর উৎপাদন ও মূল্য বৃদ্ধির যে সম্পর্ক, তা জটিল বলে মনে করেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সরবরাহ যদি আরও বেশি হতো, হয়তো গরুর মাংসের দাম এতটা বাড়ত না। মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে চাহিদা বৃদ্ধি, গোখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং সার্বিক মুদ্রাস্ফীতিও বড় কারণ বলে মনে করেন তিনি। 

বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালেও ঢাকা শহরে দিনে ৫ হাজার গরু জবাই হতো। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে দাম বাড়তে থাকায় মানুষ গরু মাংস খাওয়া কমিয়ে দেয়। ২০২৩ সালে দিনে গরু জবাই হতো দেড় হাজারের মতো। এই রমজান মাসে ঢাকায় দিনে ২০০০-২২০০ গরু জবাই করা হচ্ছে। 

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, ২৯ মার্চ (গতকাল শুক্রবার) ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়।

ভারত থেকে গরু আসা প্রায় বন্ধ হয়ে যায় ২০১৪ সালে। এর কারণ ভারত গরু রপ্তানি নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। এর পরের ১০ বছরে দেশে গরুর উৎপাদন–সম্পর্কিত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করেছে প্রথম আলো। 

২০১৪ সালের আগে প্রতিবছর গড়ে ২০ লাখ গরু ভারত থেকে বাংলাদেশে আসত। যেমন ২০১৩ সালে ভারত থেকে গরু এসেছিল ২৩ লাখ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে গরুর সংখ্যা ছিল প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ। এরপর প্রতিবছরই গরুর সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে গরুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ কোটি ৪৯ লাখে। অর্থাৎ এক দশকে দেশে গরুর সংখ্যা (উৎপাদন) বেড়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার বা প্রায় ৬ শতাংশ (৫ দশমিক ৮২ শতাংশ)। 

ভারত থেকে বছরে যে সংখ্যায় গরু আমদানি করা হতো, সেই ঘাটতি এখনো পূরণ হয়নি। বছরে ঘাটতি ছিল ২০ লাখ, সেখানে পূরণ হয়েছে ১৩ লাখ। দরকার আরও প্রায় ৭ লাখ। এর সঙ্গে বাড়তি চাহিদাও যুক্ত হয়েছে গত এক দশকে। চাহিদা ও সরবরাহের এই পার্থক্য দামে প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন গরুর মাংস ব্যবসায়ীরা। 

সরবরাহ যদি আরও বেশি হতো, হয়তো গরুর মাংসের দাম এতটা বাড়ত না।
গোলাম রহমান, ক্যাবের সভাপতি

দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না 

ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার গরুসহ সব ধরনের মাংস উৎপাদনে জোর দেয়। এরপর ২০১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তৎকালীন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ঘোষণা দেন, বাংলাদেশ মাংস (গরু) উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তিনি প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণার তথ্য ব্যবহার করে বলেছিলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তার পর থেকে সরকারের নথিপত্রে এবং মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা তাঁদের বক্তব্যে মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার কথা বলে আসছেন। 

তবে বাস্তবতার সঙ্গে মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার মিল পাওয়া যায় না। প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার বারবার স্বয়ংসম্পূর্ণতার কথা বললেও দেশে মাংস উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে। যার কারণে মূলত গরুর মাংসের দাম ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। যে কারণে সরকার চেষ্টা করেও গরুর মাংসের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারছে না। 

বাজারে গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এবারও রমজান মাস শুরুর আগে রাজধানীর ২৫টি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে দুধ-ডিম-মাছ-মাংস বিক্রি করছে সরকার। এই কার্যক্রম চালু উপলক্ষে ১০ মার্চ ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছিলেন, এর ফলে এসব পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে। 

তবে মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিফলন বাজারে নেই। যেমন সরকারের সংস্থা টিসিবির হিসাবেই ১২ মার্চ প্রথম রমজানের দিন ঢাকার বাজারে গরুর মাংসের দাম ছিল ৭৩০ থেকে ৭৮০ টাকা। 

অবশ্য কোথাও কোথাও ব্যতিক্রমও আছে। যেমন রমজান মাসে ঢাকায় ৫৯৫ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছেন উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। তাঁর খলিল গোশত বিতানে দিনে অন্তত ২০টি গরু জবাই করা হয়। 

দেশে যে পরিমাণ গরু উৎপাদন হয়, তা চাহিদার পুরোটা মেটাতে পারে না বলে মনে করেন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অস্বীকার করার উপায় নেই সেই ঘাটতি কিছুটা পূরণ করা হয় অবৈধপথে গরু এনে। সরবরাহের ঘাটতির কারণে মাংসের দাম বেশি। এ ছাড়া গুটিকয়েক খামারির সিন্ডিকেট, বিভিন্ন ধরণের চাঁদাবাজি ও সরকারের সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় গরুর মাংসের দাম বেড়েছে।

বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালেও ঢাকা শহরে দিনে ৫ হাজার গরু জবাই হতো। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে দাম বাড়তে থাকায় মানুষ গরু মাংস খাওয়া কমিয়ে দেয়। ২০২৩ সালে দিনে গরু জবাই হতো দেড় হাজারের মতো। এই রমজান মাসে ঢাকায় দিনে ২০০০-২২০০ গরু জবাই করা হচ্ছে। 

উৎপাদন বৃদ্ধির হার কম কেন

সারা দেশেই পারিবারিকভাবে গরু পালন কমছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের পশুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজাফফর হোসেন। গরুর সংখ্যা এ কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়ছে না উল্লেখ করে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পড়াশোনা করা ছেলেমেয়েরা গরু পালনে আসছে না। গ্রামের অনেক তরুণ বিদেশে চলে যাচ্ছে। যারা বাড়িতে থাকছে, তারাও গরু পালনের চেয়ে মাছ চাষ, শাকসবজি চাষের মতো কৃষিকাজ কিংবা অটোরিকশা চালানোর প্রতি বেশি আগ্রহী। ফলে পারিবারিকভাবে গরু পালনের মানুষ কমছে। সেই সঙ্গে জায়গা ও খাদ্যসংকট রয়েছে। আবার গবাদিপশুর খাদ্যের দামও বাড়তি। 

তবে গরু পালন বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে উল্লেখ করে অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজাফফর বলেন, যাঁরা গরু পালন করছেন, তাঁরা বাণিজ্যিকভাবে পালনে বেশি আগ্রহী। অন্যরা ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছেন। 

গ্রামে গৃহস্থের ঘরে গরু পালন কমছে কি না তা নিয়ে অবশ্য সুনির্দিষ্ট কোনো গবেষণা নেই। এ বিষয়ে বরিশাল, ময়মনসিংহ ও রংপুর জেলার তিনটি গ্রামে খোঁজ নিয়েছে প্রথম আলো। এর মধ্যে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কালিহাতা গ্রামের একটি গৃহস্থ বাড়ির তথ্য নেওয়া হয়। দেখা যায়, এক যুগ আগে এই গ্রামের কাঁচারিপাড় বাড়ির ১০টি পরিবার গরু লালন–পালন করত। এখন শুধু ওই বাড়ির মাসুদ হাওলাদারের পরিবার গরু লালন-পালন করে। 

মাসুদ হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বাড়ির বেশির ভাগ তরুণ গত কয়েক বছরে শহরে কাজের খোঁজে গেছেন। প্রবীণেরা যাঁরা গরু দেখভাল করতেন, তাঁদের কেউ কেউ মারা গেছেন, কারও কারও গরু পালনের মতো শারীরিক সামর্থ্য নেই। একসময় গৃহস্থ পরিবারে দৈনন্দিন ব্যয় মেটানোর জন্য আয়ের একটি উৎস ছিল গরুর দুধ বিক্রি। এখন পরিবারগুলো প্রবাসী আয় অথবা শহর থেকে পরবর্তী প্রজন্মের পাঠানো টাকায় চলে বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার রাজাবাড়ি গ্রামের পাঁচটি পরিবারের খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এখন দুটি পরিবার আর গরু পালছে না। এর মধ্যে একটি পরিবার ছয় বছর, আরেকটি পরিবার চার বছর ধরে গরু লালন-পালন করছে না। এর কারণ মূলত দুই পরিবারের প্রবীণ সদস্যরা গরু পালতেন। এক পরিবারের প্রবীণ সদস্য মারা গেছেন, আরেকজন অসুস্থ। তাই গরু লালন-পালন করার মতো এখন আর কেউ নেই। 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে গরুর সংখ্যা ছিল প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ। এরপর প্রতিবছরই গরুর সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে গরুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ কোটি ৪৯ লাখে।

উৎপাদন বাড়াতে হাজার কোটি টাকা খরচ 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লক্ষ্য হলো সবার জন্য নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও মানসম্মত প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি প্রাণিস্বাস্থ্য সেবা দেওয়া, প্রাণীর উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করাও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অন্যতম কাজ। গরুসহ গবাদিপশুর উন্নয়নে কাজ করা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিয়মিত দায়িত্ব। 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেয়াজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ভারত গরু রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর দেশে গরুর উৎপাদন বেড়েছে। কৃত্রিম প্রজননের কারণে গরু আকারেও বড় হয়েছে। এখন মাংসের কোনো ঘাটতি নেই। 

তবে গরুর মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত ১০ বছরে দেশের জনসংখ্যা যেভাবে বেড়েছে, সেটি বিবেচনায় নিলে চাহিদা অনুযায়ী গরুর উৎপাদন সে অর্থে বাড়েনি। আবার দেশি গরুর আকার ছোট। যে কারণে এসব গরুতে মাংস পরিমাণে কম হয়। 

দেশে গরুর মাংসের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করতে হলে কৃত্রিম প্রজননের দিকে জোর দিতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজাফফর হোসেন। তিনি বলেন, কৃত্রিম প্রজনন বাড়লে দেশে গরু পালন আরও লাভজনক হবে। কারণ, তখন গরুর আকার বড় হবে, মাংসের পরিমাণও বাড়বে। কাজটি করা গেলে গরু পালনের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে।