ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় সোনাগাজী পৌর শহর এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার সোনাগাজী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দুই ছাত্রদল কর্মীর ওপর হামলা করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। তাঁরা দুজন উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলামের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। হামলার ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে দাবি করে এর প্রতিবাদে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের একটি অংশের নেতা-কর্মীরা গতকাল মঙ্গলবার পৌর শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। আহত ব্যক্তিদের একজন মেহেদী হাসানের মা বাদী হয়ে রাতে থানায় মামলা করলে সেখানে ছাত্রদল নেতা মেজবাহ উদ্দিনকেও আসামি করা হয়।
মামলার প্রতিবাদে মেজবাহ উদ্দিনের অনুসারীরা আজ সন্ধ্যায় পৌর শহরে মিছিল শুরু করেন। উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব নুর আলম সোহাগের নেতৃত্বে আয়োজিত মিছিলটি শহরের কাশ্মীরবাজার সড়কের সামনে গেলে প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সংঘর্ষ শেষে দুটি পক্ষই সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছেন। হামলার ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে সংঘর্ষে জড়িত উভয় পক্ষ নিজেদের ৩০ থেকে ৪০ জন করে কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাদেকুল করিম বলেন, ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন আঘাতে আহত ১৫ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে তিন থেকে চারজনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।