এক যুগের বেশি সময় ধরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁদের চাকরিসংক্রান্ত ন্যায্য অধিকারের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এক যুগের বেশি সময় ধরে মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পৃথক বেতন কাঠামো, পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড, আবাসন ব্যবস্থা, ঋণ সুবিধাসহ নানা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এক কমিশনের মেয়াদ শেষে প্রতি তিন বছর পরপর নতুন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করে। তারা দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও তা পূরণের জন্য আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া কার্যকর কিছুই করা হয়নি।
অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, গত ৮ এপ্রিল একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘মানবাধিকার কমিশনে কর্মরতদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পরও তাঁদের দাবি নিয়ে কোনো আলোচনা বা পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ কারণে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সব সময় হতাশা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বিশ্বাস করে যে অন্তর্বর্তী সরকার কমিশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি যেমন, পৃথক বেতন কাঠামো, পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড, আবাসন ব্যবস্থা, যাতায়াতব্যবস্থা, সরকারি ঋণ সুবিধা, কমিশনের নিজস্ব ভবন ইত্যাদি দ্রুত বাস্তবায়ন করবে। একই সঙ্গে কমিশনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের প্যারিস নীতিমালার আলোকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯-এর প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মানুষের অধিকার রক্ষায় যারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, তারাই বছরের পর বছর ধরে অধিকার বঞ্চিত হয়ে আসছে। কমিশনে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানবাধিকার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে কমিশনে কর্মরতরা দেশের সব মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।