জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনা অনুসন্ধানে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। আজ শুক্রবার সকালে অবন্তিকাদের কুমিল্লা শহরের বাড়িতে যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
তদন্ত কমিটি সদস্যরা জানিয়েছেন, আত্মহত্যার ঘটনা তদন্ত করতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টরকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা কুমিল্লায় অবন্তিকাদের বাড়িতে যান। তাঁরা অবন্তিকার মা ও অন্য সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা কথা বলেন। আত্মহত্যার স্থানও পরিদর্শন করেন।
পরে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক জাকির হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, অবন্তিকার মা ঘটনা সম্পর্কে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা কিছু জানেন, সব শোনা হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁরা পুলিশ ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করবেন।
যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, সে বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে কথা বলতে চাননি কমিটির প্রধান জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘তদন্তের কাজ চলছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করব।’
এ সময় অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটির সদস্যরা যা যা জানতে চেয়েছেন, সব তথ্য দিয়েছেন। এ ঘটনার ন্যায়বিচার হবে বলে তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকা গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে কুমিল্লার ওই বাড়িতে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ওই পোস্টে একজন সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে ছেলেটির পক্ষ নিয়ে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগও করেন তিনি। সেখানেই আত্মহত্যার কথা লিখেছিলেন অবন্তিকা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পরে অবন্তিকা যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, সেই সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তাঁরা কুমিল্লা কারাগারে বন্দী আছেন।