চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল ফারুকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১ শিক্ষক।
গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁরা এ বিবৃতি দেন। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ভাঙিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ব্যক্তিগতভাবে হীন চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেন।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে দুদককে দেওয়া একটি চিঠি ছড়িয়ে যায়। ওই চিঠিতে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল ফারুকের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। যদিও গত ২৫ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান, স্বার্থান্বেষী মহল নিজ এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ নাম ব্যবহার করে এই চিঠি দিয়েছে। এই চিঠি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পাঠায়নি।
চিঠির প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষকেরা জানান, কয়েক মাস ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষককে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করার হীন চেষ্টা করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন না করে কল্পনাপ্রসূত ও কুৎসাপূর্ণ একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার মাধ্যমে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল ফারুকের মতো জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের সম্মানহানি করার অপপ্রয়াস করা হচ্ছে। তাঁরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং ধিক্কার জানান। এ ধরনের নিন্দনীয় কাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের কাছে তাঁরা জোর দাবি জানাচ্ছেন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকেরা হলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খাদিজা মিতু, রাহমান নাসির উদ্দিন; ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মনির উদ্দীন, অধ্যাপক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন, অধ্যাপক তাপসী ঘোষ রায়, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ফারাহ জাহান, অধ্যাপক ইকবাল আহমেদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক কুন্তল বড়ুয়া, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান প্রমুখ।