অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অতি. এসপি) আলেপ উদ্দিনকে তুলে নেওয়ার পর তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অতি. এসপি) আলেপ উদ্দিনকে তুলে নেওয়ার পর তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না

কর্মস্থল থেকে তুলে নেওয়ার ৩২ ঘণ্টা পরও খোঁজ নেই পুলিশ কর্মকর্তার

বরিশালের কর্মস্থল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অতি. এসপি) আলেপ উদ্দিনকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয় থেকে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়। রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩২ ঘণ্টা পার হলেও তাঁর খোঁজ পায়নি বলে জানিয়েছে পরিবার।

যদিও কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর আটক বা গ্রেপ্তারের কারণ এবং তাঁকে কোথায় রাখা হয়েছে, সেটি পরিবারকে জানানোর বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। তবে এক দিনের বেশি সময় পার হলেও আলেপ উদ্দিনের খোঁজ না পেয়ে তাঁর পরিবার উদ্বিগ্ন।

আলেপ উদ্দিনের স্ত্রী ওয়াফা নুসরাত বুধবার রাত ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে আলেপ উদ্দিনকে তুলে নেওয়ার সময় তিনি স্ত্রীকে ফোন করে বলেছিলেন, বরিশালের ডিবি তাঁকে তুলে নিয়ে গেছে। তাঁর জানামতে, আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। কিন্তু তাঁকে কেন তুলে নিয়ে গেছে, কোথায় রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানতে পারছেন না। ইতিমধ্যে ২৪ ঘণ্টার অনেক বেশি সময় পার হয়ে গেছে, এখন পুরো পরিবার উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেন বুধবার রাত ৯টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, আলেপ উদ্দিনকে তুলে নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাঁকে ঢাকার ডিবি কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ডেকে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে ঢাকার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলতে পারবেন।

এরপর রাত ৯টা ২৫ মিনিটে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র, গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই। এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারছেন না।

আলেপ উদ্দিনের স্ত্রী ওয়াফা নুসরাত বলেন, আলেপ উদ্দিন পুলিশের ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা। তিনি বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত ছিলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তিনি পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) কর্মরত ছিলেন। কোনো আভিযানিক দলে (অপারেশনাল) বা মাঠে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ছিলেন না। তাই তাঁকে কেউ ফাঁসানোর চেষ্টা করছে কি না, সেই আশঙ্কায় তাঁরা উদ্বিগ্ন।