নারীমুক্তি, গণতন্ত্র, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা কবি বেগম সুফিয়া কামালের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২০ নভেম্বর। ১৯৯৯ সালের এই দিনে তিনি মারা যান। ১৯১১ সালে বরিশালের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
সুফিয়া কামাল ছিলেন একাধারে কবি, নারী আন্দোলনের অগ্রণী নেত্রী এবং ধর্মান্ধতা ও অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় যোদ্ধা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সুফিয়া কামাল সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
সুফিয়া কামাল যখন জন্মগ্রহণ করেন, তখন নারীশিক্ষা অনেকটা নিষিদ্ধ ছিল। সুফিয়া কামাল নিজ উদ্যোগে নিজেকে শিক্ষিত করেই ক্ষান্ত হননি, পিছিয়ে পড়া নারী সমাজকে শিক্ষিত করে তোলার দায়িত্বও কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। নারীর অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে গড়ে তোলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
ভাষা আন্দোলনে অংশ নেওয়া কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রীহলের নাম ‘রোকেয়া হল’ করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। ১৯৬১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করলে তার বিরোধিতা করেন এই কবি। তিনি শিশু সংগঠন ‘কচি-কাঁচার মেলা’ প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।
সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় ধানমন্ডিতে তাঁর বাড়ি ‘সাঁঝের মায়া’য় স্মরণসভা হবে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠন নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করবে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম এ কবির প্রয়াণ দিবস।