ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে ও রশি দিয়ে বেঁধে মামুনুল হকসহ কারাবন্দী আলেম–ওলামাদের আদালতে হাজির করার নিন্দা–প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীসহ ৫০ বিশিষ্ট আলেম।
আজ শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে আলেম–ওলামাদের প্রতি অবিলম্বে এই আচরণ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট আলেমরা।
আলেমরা বলেছেন, ইসলামবিরোধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আলেম সমাজ প্রতিবাদের চেষ্টা করেছেন। তারপরও কেন নিরীহ আলেমদের বছরের পর বছর ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। সরকারের স্মরণে রাখা উচিত, সামনে জাতীয় নির্বাচন। ওলামায়ে কেরামের এই দীর্ঘ কারাবাস জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিকে বাধাগ্রস্ত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মাওলানা মামুনুল হককে বিশেষভাবে নিশানা করা হয়েছে। উদ্দেশ্যমূলক মামলায় ফাঁসিয়ে তাঁকে সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে কোণঠাসা করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আলেমদের প্রতি অযাচিত কোনো অপবাদ ও চরিত্রহননের অপপ্রয়াস এ দেশের তৌহিদি জনতা মেনে নেবে না।
২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আসার পর হয়রানিমূলক মামলায় প্রায় দুই বছর ধরে বহু আলেম কারাগারে আছেন উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘ কারাবাসের কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় কারাগারে গিয়েছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ সোজা হয়ে হাঁটাচলা পর্যন্ত করতে পারছেন না। তাঁদের পরিবার চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে।
অবিলম্বে কারাবন্দী আলেমদের মুক্তি দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের শীর্ষ আলেমদের একটি প্রতিনিধিদল এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন। তিনি আলেমদের মুক্তির ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা ইয়াহইয়া, খেলাফত আন্দোলনের আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ইসমাঈল নূরপুরী, মধুপুরের পীর আব্দুল হামিদ, মুহিব্বুল হক, আবদুর রহমান হাফেজ্জী, খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী প্রমুখ।