বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)

শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘাতময় পরিস্থিতিতে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। একই সঙ্গে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হয় কিংবা ক্যাম্পাস বন্ধ রাখতে হয় এমন কার্যক্রম থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত থাকতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে মেস বা হোস্টেল ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে থাকার আহ্বান জানানো হয়।

আজ সোমবার সমিতির সেক্রেটারি জেনারেল কাজী আনিস আহমেদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শনিবার সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় এই শোকপ্রস্তাব গৃহীত হয়। সভায় স্বার্থান্বেষী মহলের নাশকতা, দেশের সম্পদ বিনষ্ট করা ও সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিধানে নাশকতাকারীদের আইনের আওতায় আনার বিভিন্ন পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী সরকারের প্রজ্ঞাপন জারি, প্রাণহানির ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন এবং সহিংসতায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসহায়তা ও সম্ভাব্য ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের ভবিষ্যৎ এই সব শিক্ষার্থীর যৌক্তিক চাওয়ায় কিংবা সমস্যা সমাধানে অভিভাবক শ্রেণি, শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগী সমাজ সব সময় তাঁদের পাশে থাকবে। আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে রাষ্ট্র ও প্রশাসন পরিচালনা করবেন বিধায় সহিংসতার বিরুদ্ধে যথাযথ শিক্ষায় তাঁদের গড়ে তোলা জরুরি। এ ক্ষেত্রে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধ তাঁদের সমুন্নত রাখতে হবে।

সমিতি বলেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সুনাম তথা সংঘাত-সহিংসতামুক্ত ক্যাম্পাসের ভাবমূর্তি ও অভিভাবকদের আস্থা সংরক্ষণে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সহিংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে শিক্ষার্থীদের ‘ক্যাম্পাস কাউন্সেলিং’ জোরদার ও অভিভাবকদের সচেতনতা একান্ত জরুরি। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সর্বস্তরের শিক্ষকদের যথাযথ ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানিয়েছে সমিতি।