ঢাকার নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বদলে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছের গোলাপবাগ মাঠে বিএনপিকে সমাবেশের পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
বিএনপি আগামীকাল বৃহস্পতিবার এ সমাবেশ করবে। তারা সমাবেশ থেকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি মানার জন্য বর্তমান সরকারকে একটা সময়সীমা বেঁধে দিতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে বিএনপি গত সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দিয়ে ঢাকার নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার আগ্রহের কথা জানায়। এখনো পুলিশ সমাবেশের জায়গার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানায়নি।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আজ বুধবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা বিএনপিকে গোলাপবাগে সমাবেশ করার পরামর্শ দিয়েছি।’
বিএনপি গত বছরের ১০ ডিসেম্বর গোলাপবাগ মাঠে একটি সমাবেশ করেছিল। এই সমাবেশ তারা করতে চেয়েছিল ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে। তবে পুলিশ সেখানে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বলা হয়। কিন্তু বিএনপি তাতে রাজি হয়নি।
এবার বিএনপির পক্ষ থেকেই ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে সমাবেশের আগ্রহের কথা জানানো হয়। পুলিশ তাদের গোলাপবাগ মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, গোলাপবাগ মাঠটির আয়তন ৪ দশমিক ৫২ একর। এটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের তুলনায় অনেক ছোট। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আয়তন প্রায় ৬৮ একর। ২২ জুলাই এই উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ করে বিএনপি। সেখানেই ২৭ জুলাইয়ের সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়।
গোলাপবাগ মাঠে বিএনপি সমাবেশ করবে কি না, সে বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে আজ বিকেল সাড়ে চারটায় ব্রিফিংয়ে বিএনপি এ বিষয়ে অবস্থান জানাতে পারে।
এদিকে আজ সকালে ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে রাজধানীতে কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, তবে সমাবেশে কোনো লাঠিসোঁটা ও ব্যাগ নিয়ে আসা যাবে না।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, মানুষকে কষ্ট না দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশ করা উচিত। ভবিষ্যতে হয়তো এমন সময় আসবে যে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে এসব কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা লাগতে পারে।