দলের পূর্বঘোষিত ঢাকা মহানগর উত্তরের মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা জ্যেষ্ঠ নেতাদের ওপর আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার রাতের ওই হামলায় আহত দলের নেতা তাবিথ আউয়ালকে ইউনাইটেড হাসপাতালে দেখতে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঢাকা মহানগরে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি মোমবাতি প্রজ্বালন করে আওয়ামী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া হয়। ঢাকা দক্ষিণে শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি হয়েছে। কিন্তু ঢাকা উত্তরে যখন কর্মসূচি প্রায় শেষ পর্যায়ে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা এসে জ্যেষ্ঠ নেতাদের ওপর আক্রমণ করে। স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, উত্তরের মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল সেখানে ছিলেন। হামলায় আহত ছয়-সাতজন মহিলা কর্মী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাবিথ আউয়াল মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। অন্যান্যরা গুরুতর আহত। এখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।’
মির্জা ফখরুল জানান, শনিবার বিকেলে নোয়াখালী থেকে ঢাকায় আসার পথে কুমিল্লায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লার (বুলু) ওপর আক্রমণ হয়েছে। তিনিও রক্তাক্ত হয়েছেন। তাঁকে কুমিল্লা হাসপাতালে আনা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা যে কথাগুলো সব সময় বলছি, এখানে আওয়ামী লীগ ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে। সমগ্র দেশে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এখানে গণতন্ত্রের কোনো পরিবেশ নেই। এখানে তারা যখন নির্বাচনের কথা বলে সেটা একটা প্রহসন ও বাতুলতা ছাড়া আর কিছু নয়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মানুষের যে দাবিগুলো তা নিয়ে আন্দোলন করছি। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছি। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি। সেই আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য ভয়াবহ সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’