সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান
সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান

‘তিন কোটির ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়ন!’ প্রতিবেদন ভুয়া চেকের ভিত্তিতে: জনপ্রশাসন সচিব

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘তিন কোটির ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়ন!’ শীর্ষক প্রতিবেদনে যে চেকের কথা বলা হয়েছে, সেটি ‘ভুয়া’ বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান। আর ‘ভুয়া’ একটি বিষয়কে জাতীয় পর্যায়ে এনে মানুষকে বিব্রত করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আজ সোমবার বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সচিব মোখলেস উর রহমান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিষয়টি উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।

তিন কোটি টাকার বিনিময়ে ডিসির পদায়ন শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি তদন্তে এক সদস্যের কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেই কমিটির দেওয়া তথ্য জানাতেই মূলত আজকের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনে আসা ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ করে সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, ওই ব্যক্তি পদ্মা ব্যাংকে একটি ভুয়া হিসাব খুলেছিলেন। নির্ধারিত ফরম পূরণ না করেই এই হিসাব খোলা হয়েছিল। ২০২৩ সালে দুই হাজার টাকা দিয়ে হিসাবটি খোলেন। তদন্তের সময় এ হিসাবে ব্যালেন্স ছিল শূন্য। তাতে যে ঠিকানা ছিল, সেই ঠিকানায় এই ব্যবসায়ী থাকেন না। তাঁর মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

সচিব বলেন, ‘যে লোক তিন কোটি টাকার চেক দিতে পারেন, তিনি এত হালকা লোক হবেন? এতেই বোঝেন। এককথায় বলি, ভুয়া একটি বিষয়কে জাতীয় পর্যায়ে এনে মানুষকে বিব্রত করা হয়েছে। এতে কেউ ছোট হয় না। দিন শেষে যাঁরাই এটি করেছেন, তাঁরাই ছোট হন।’

কোনো সূত্র ছাড়াই বড় ধরনের এ গুজব ছড়ানো হয়েছে মন্তব্য করে সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের প্রতিবেদন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করে কী লাভ?’

ওই ব্যবসায়ীর প্রসঙ্গে সচিব বলেন, এই ধরনের একজন ভুয়া লোক এত বড় একটি ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে আছেন, সে ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পুলিশ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে বলা হবে বলে জানান সচিব।