প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার

বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুষ্ঠু ও মানসম্পন্ন তদন্ত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে।

জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সব মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেব, যাতে এটি যথাযথ, মানসম্পন্ন এবং উচ্চ মানসম্পন্ন হয়।’ তিনি আরও বলেন, এই তদন্তে সহায়তা নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে জাতিসংঘের (ইউএন) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

প্রেস সচিব বলেন, জাতিসংঘ তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে এবং বাংলাদেশও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

জার্মান রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।

ধর্মীয় উগ্রবাদ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, যাঁরা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী, তাঁদের ব্যাপারে জার্মানির কোনো সহানুভূতি নেই। রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভাষণে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে একটি স্বাধীন তদন্ত হবে।

বাংলাদেশে জার্মান দূতাবাসের ধীরগতির ভিসাপদ্ধতিতে সদিচ্ছার অভাব নয়, বরং সম্পদের সীমাবদ্ধতাকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি ভিসাপদ্ধতির ক্ষেত্রে এই অনিচ্ছাকৃত বিলম্বের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও জার্মানির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য সরকার ঘোষিত গতকাল শোক দিবসে জার্মানির রাষ্ট্রদূত তাঁর শোক ব্যক্ত করেন।

অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।