সারা দেশে বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, এই হিসাবে কিছুটা হেরফের হতে পারে। কারণ সব জায়গার তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইসি সূত্র জানায়, বেলা ৩টা পর্যন্ত ঢাকায় ২৫, চট্টগ্রামে ২৭, খুলনায় ৩২, সিলেটে ২২, ময়মনসিংহে ২৯, রাজশাহীতে ২৬, রংপুরে ২৬ ও বরিশালে ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এর আগে বেলা ১২টার পরে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, বেলা ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে সাড়ে ১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আজ সকাল ৮টায় সারা দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রথম আলোর প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর বলছে, সকালে ভোটার উপস্থিতি কোথাও কোথাও কম ছিল। কোথাও কোথাও ছিল তুলনামূলক বেশি।
দেশে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮৭ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়েছিল।
২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে। ওই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন প্রার্থীরা। বাকি আসনগুলোতে ৪০ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়েছিল বলে হিসাব দিয়েছিল ইসি।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব বড় দল অংশ নেয়। তবে নির্বাচনটি নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ওঠে। ইসির হিসাবে, ওই নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৮০ শতাংশের কিছু বেশি।
আজ সকালে রাজধানীর হাবীব উল্লাহ বাহার কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোট গ্রহণ মাত্র শুরু হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি আশা করি আরও বাড়বে। প্রতিটা সেন্টারে আমি খোঁজ নিয়েছি। ভোট হয়েছে অল্প অল্প। কোথাও ২৫টি, কোথাও ৪০টি। ’
আরও পড়ুনঃ
কক্ষে ভোটার নেই, বাইরে লাইন দেখানোর চেষ্টা ছাত্রলীগের
নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর লাঙ্গলের প্রার্থীর ভোট বর্জন
হরতাল ও সহিংসতার কারণে ভোটে প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটা তিনি বলতে পারছেন না। নির্বাচন কমিশন শুধু ভোটটা ম্যানেজ করছে। ভোটাররা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, সে ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না।
দুপুরে সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের রংপুর-৩ আসনের ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণের সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামালপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। যে পুরোনো কায়দায় আওয়ামী লীগ ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে, এবারও সেটাই করা হচ্ছে। যদিও বারবার আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে এমন কোনো ঘটনা ঘটবে না।’