জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারকাজ শুরু হলো। মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর জন্য আগামী ১৬ মে তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন।
তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের পক্ষে আদালতে আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আবেদনটি করেছিলেন। তারেক-জোবায়দা পলাতক থাকায় আবেদনটি আজ নাকচ করেন আদালত।
মামলায় গত ৫ জানুয়ারি তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন। গত বছরের ১ নভেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
আইনজীবী ও আদালত সূত্র জানিয়েছে, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তাঁর মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। পরের বছর তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ও দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ডে দণ্ডিত তারেক রহমান এক যুগের বেশি সময় ধরে সপরিবার যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়। বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে তারেক রহমানকে ‘মিথ্যা’ মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।