বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেছেন, দেশে সংখ্যালঘু সমস্যা মূলত রাজনৈতিক। তাই সমাধানও হতে হবে রাজনৈতিকভাবেই। আওয়ামী লীগ এখনো বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব।
গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, সংখ্যালঘু নিপীড়নের কাঠগড়ায় বাংলাদেশ। ভারত-যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে। সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় বইছে। হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে জঙ্গি, মৌলবাদী তকমা জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।
গোলটেবিল বৈঠকে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) বাংলাদেশের সব ধর্মের মানুষের রক্ষাকর্তা বলে দাবি করে। কিন্তু তাদের সময়ে সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের শাসনামলে সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, যশোরের অভয়নগর, চট্টগ্রামের হাটহাজারী, রাউজান, কক্সবাজারের রামুসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দুদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ধর্ম অবমাননার অজুহাতে। পরে অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিটি ঘটনার ইন্ধানদাতা আওয়ামী লীগ।
গোলটেবিল বৈঠকে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও গাজী আতাউর রহমান প্রমুখ।