সাক্ষাৎকার

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভূমিকা কী হবে, সেটা দল ঠিক করবে: এ কে আজাদ 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্তিশালী প্রার্থীকে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ফরিদপুর–৩ আসনে এ কে আজাদ। গতকাল সোমবার তিনি কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে।

ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিপুল ভোটে হেরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের কাছে। ঈগল প্রতীক নিয়ে ভোট করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক এই সভাপতি।

প্রশ্ন

প্রথমবারের মতো ভোট করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কী রকম পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছিল আপনাকে?

এ কে আজাদ: ফরিদপুরের মানুষ নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাকে ভোট দিয়েছে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী (শামীম হক) জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নানাভাবে আমাকে নির্বাচন থেকে সরানোর চেষ্টা করেছেন। আমার কর্মী–সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রতিপক্ষের বাধাবিপত্তির মধ্যেও বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছি। এ জন্য ভোটারদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

প্রশ্ন

নির্বাচনী প্রচারের সময় অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আগামী পাঁচ বছর এলাকার জন্য কী কী করতে চান?

এ কে আজাদ: আমার প্রথম প্রতিশ্রুতি, এলাকায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। এলাকায় যারা বেকার ও যুবকশ্রেণি আছে, তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া। দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি থেকে ফরিদপুরবাসীকে মুক্ত করা। তৃতীয় প্রতিশ্রুতি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বাড়ানো। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগামী পাঁচ বছরে এসব প্রতিশ্রুতি পূরণে সচেষ্ট থাকব।

প্রশ্ন

যাঁর সঙ্গে নির্বাচন করে আপনি জিতেছেন, তাঁর প্রতি কোনো আহ্বান আছে কি?

এ কে আজাদ: আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই। দলকে শক্তিশালী করতে চাই। আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রীর যে লক্ষ্য, সেটি বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করব। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। অর্থনৈতিক, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলো একসঙ্গে সমাধান করতে চাই।

প্রশ্ন

জাতীয় সংসদে আপনার ভূমিকা কী হবে?

এ কে আজাদ: আমি আওয়ামী লীগের লোক। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, যাঁদের নৌকা প্রতীক দিতে পারিনি, তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়াবেন। তাঁদের প্রতি দলের আপত্তি থাকবে না। এখন দল আমাদের যেভাবে নির্দেশ দেবে, সেভাবে কাজ করব। দল যদি বলে তোমরা এক হয়ে যাও, তা-ই হবে। তাহলে আবার সবাই নৌকা হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে দল চাইবে আমরা স্বতন্ত্র থাকি। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভূমিকা কী হবে, সেটা দল ঠিক করবে।

প্রশ্ন

প্রথাগত সংসদ সদস্য হবেন, নাকি ব্যতিক্রমী হবেন?

এ কে আজাদ: জনগণ আমাকে নির্বাচিত করেছে তাদের পক্ষে সংসদে কথা বলার জন্য। যতটা অপ্রিয় হোক না কেন, জনগণের স্বার্থে আমি সংসদে কথা বলব। দেশের স্বার্থে সংসদে কথা বলব। এটিই হবে আমার মূল লক্ষ্য।

● সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আরিফুর রহমান