ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদেরের দেশত্যাগ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেশত্যাগ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আইনজীবী তাজুল বলেন, ‘আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে ওবায়দুল কাদের তিন মাস দেশেই ছিলেন বলে আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বা তিনি পরে কীভাবে দেশের সীমান্ত অতিক্রম করলেন, সে বিষয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যাখ্যা দিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।’

কেউ যদি আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে ও পরিকল্পনায় বিভিন্ন সময় ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রিপরিষদের বিভিন্ন সদস্য মানুষকে গুম ও হত্যা করতে সরাসরি সাহায্য করেছেন। যাঁরা এই গুমের ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন, তাঁদের তথ্য কমিশনের কাছে এসেছে এবং তা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বৈষমবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের মধ্যে ৯ জন সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে ১৮ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে শুনানি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। পাশাপাশি এই মামলার বাকি আসামিদেরও (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকা) ১৭ ডিসেম্বর হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে আগের ১৩ জনসহ ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।