অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সরকারের চূড়ান্ত লক্ষ্য একটি নিরপেক্ষ ও সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার হস্তান্তর। এ নিয়ে সন্দেহের কোনো সুযোগ নেই।
আজ রোববার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তৌহিদ হোসেন এ কথা বলেন।
গত বৃহস্পতিবার তৌহিদ হোসেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। শপথ নেওয়ার পর এটি গণমাধ্যমের সঙ্গে তাঁর প্রথম মতবিনিময়।
মতবিনিময়ের শুরুতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘নাম যা-ই দিই না কেনো, দেশে একটা বিপ্লব ঘটেছে। পরিবর্তনের প্রত্যাশা অনেক এবং যথাসাধ্য তা পূরণের চেষ্টা করতে হবে। খুঁটিয়ে দেখলে বুঝবেন, এই প্রত্যাশার কোনোটাই অযৌক্তিক নয়। এমন নয় যে তা চাওয়া উচিত নয়। এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়ে কিছু সংস্কারের প্রয়োজন হবে। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হলো। বেশ কিছু সময় ধরে ধীরে ধীরে এটা বেড়েছে। যেহেতু আমরা এ রকম পরিস্থিতি আবার চাই না, তাই আমাদের কিছু সংস্কার করতে হবে। প্রথম কাজ হচ্ছে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। তারপর এই সংস্কার যতটা সম্ভব করা যায়, সেগুলো করা।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য ও মেয়াদের বিষয়ে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, সরকারের চূড়ান্ত লক্ষ্য নিরপেক্ষ ও সঠিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার হস্তান্তর। এটি নিয়ে সন্দেহের কোনো সুযোগ নেই। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। সেটি ৭ দিন লাগতে পারে, ১৫ দিন লাগতে পারে, আবার ২ মাসও লাগতে পারে।
নির্বাচন অবশ্যই করতে হবে উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে এ সরকার সরে যাবে। কিন্তু আমরা এখনই বলতে পারছি না যে ঠিক কত দিন লাগবে। এটা নিয়ে আপাতত কোনো অনুমান না করি। আমরা কিছুদিন অপেক্ষা করি।’