গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান
গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান

জাহাঙ্গীরনগরে শামীম হত্যা: আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেন শিক্ষার্থী মাহমুদুল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান (২০)। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাসন উদ্দিন সোমবার এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতে দায়িত্বরত ঢাকা জেলা পুলিশের উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদকে মারধর করার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মাহমুদুল হাসান। তাতে কীভাবে ও কোন প্রেক্ষাপটে শামীম আহমেদকে মারধর করা হয়, তা তিনি জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন। আশুলিয়া থানা-পুলিশ রোববার গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

মাহমুদুল হাসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে থাকতেন তিনি। তাঁর বাড়ি গাজীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ সালনার আরালিয়া গ্রামে।

মারধরে নিহত শামীম আহমেদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের (৩৯ ব্যাচ) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায়। গত বুধবার বিকেল থেকে কয়েক দফায় মারধরে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।