ডিজিটাল ফটো প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্যার ফজলে হাসান আবেদের জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো তুলে ধরা হয়
ডিজিটাল ফটো প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্যার ফজলে হাসান আবেদের জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো তুলে ধরা হয়

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে স্যার ফজলে হাসান আবেদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালন

ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি।

বুধবার সকালে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস চ্যান্সেলর এবং ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজুল আজিজের নেতৃত্বে বনানী কবরস্থানে স্যার ফজলে হাসান আবেদের সমাধি জিয়ারত এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এরপর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে স্যার ফজলে হাসানের জীবনের উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন দিক ও দর্শন নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচকেরা শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান তুলে ধরেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজেসের সিনিয়র ডিরেক্টর সৈয়দা সারওয়াত আবেদ, ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর অধ্যাপক শায়লা সুলতানা, রেজিস্ট্রার ডেভিড ডাউল্যান্ড, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাবেক রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল (অব.) সাহুল আফজালসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্টাফরা।

স্যার ফজলের অবদান স্মরণ করতে গিয়ে সৈয়দা সারওয়াত আবেদ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় স্যার ফজলে হাসান আবেদের রয়েছে অভূতপূর্ব অবদান। তিনি ৪৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। সমাজের সবাইকে সম্পৃক্ত করতে উদ্ভাবনী শিক্ষাপদ্ধতি চালু করেছেন।

অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ বলেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি স্যার ফজলের দূরদর্শী চিন্তার শাশ্বত প্রমাণ হিসেবে অটল থাকবে। কেবল আনুষ্ঠানিকতায় নয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির গবেষণা, পাঠদান এবং পাঠ্যক্রমের মধ্যে স্যার ফজলে ও তাঁর অবদান আজীবন বেঁচে থাকবে।

অনুষ্ঠানে স্যার ফজলে হাসান আবেদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কয়েকজন শিক্ষক। অনুষ্ঠানে ডিজিটাল ফটো প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্যার ফজলের জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তগুলোকে সবার সামনে তুলে ধরা হয়। আগামী সাত দিন এই ফটো প্রদর্শনী চলবে।