রাজধানীর পল্টন থানার একটি মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ আবেদন করেছে পুলিশ। একই মামলায় দুই নেতাকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান এ কথা জানান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পল্টন থানার কয়েকটি মামলার এজাহারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নাম রয়েছে। পল্টন থানার একটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পল্টন থানা-পুলিশ।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো ও রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরদিন গত ২৯ অক্টোবর এ ঘটনায় রমনা মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। এই মামলায় ২৯ অক্টোবরই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই মামলায় গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর জামিন চেয়ে ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনের শুনানি নিয়ে ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। ওই মামলায় মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এ ছাড়া গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক ১০ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছেন মির্জা ফখরুল।
গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করার পর বিকেলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে জমা দেওয়া হয়। রোববার রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।