নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতে নথি দেখে দেখে বাদীপক্ষের (দুদক) সাক্ষ্য নেওয়ার বৈধতা নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীর পক্ষে সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই দিনের জন্য শুনানি মুলতবি করেন।
মামলাটি কার্যক্রম ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এ চলছে। এই মামলায় বিচারিক আদালতে নথি দেখে দেখে বাদীপক্ষের এক নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার বিষয়ে গত ২০ জুন একটি আদেশ হয়। বিচারিক আদালতের এই আদেশ সূত্রে গত আগস্টে হাইকোর্টে আবেদনটি করেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার এই আবেদনের ওপর গত ১৭ ও ১৮ অক্টোবর হাইকোর্টে শুনানি হয়। এরপর আবেদনটি ৬ নভেম্বর শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আবেদনকারীপক্ষে এক সপ্তাহ সময়ের আরজি জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এরপর আজ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকার ৬৫ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আজ আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবীর জন্য সময়ের আরজি জানান আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, আবেদনকারীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী আগে শুনানি করেছেন। ব্যক্তিগত অসুবিধা থাকায় তাঁর পক্ষে দুই দিন সময় চাওয়া হয়। আদালত দুই দিনের জন্য শুনানি মুলতবি করেছেন।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক।
দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।