বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের কয়েকজন রাষ্ট্রদূত এবং নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কয়েকটি পত্রিকায় ‘নেতিবাচক প্রচারকে খুবই দুঃখজনক’ বলে মনে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে করে বিদেশে বাংলাদেশ সরকারের নেতিবাচক ভাবমূর্তি প্রকাশ পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতিক অনুবিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নীতির কোনো সংস্কারের কার্যক্রম চলছে কি না, জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, আগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চুক্তিতে চাকরি বাড়ানো হতো। সেটি এ মুহূর্তে আর করা হচ্ছে না। এ ডিসেম্বরে সাত–আটজন রাষ্ট্রদূতের মেয়াদ শেষ হবে, তাঁদের আর সময় বাড়ানো হবে না। এটি আমাদের সংস্কারের একটি অংশ।
বিদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে কি না, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো ধরনের অস্থিরতা রয়েছে কি না, কোন কোন ক্ষেত্রে পদায়ন বাতিল করা হয়েছে জানতে চাইলে তৌফিক হাসান বলেন, ‘ইদানীং কিছু পত্রপত্রিকায় কিছু রাষ্ট্রদূত বা কর্মকর্তাকে নিয়ে নেতিবাচক তথ্য দেখা যাচ্ছে, এটি সত্যিই খুবই দুঃখজনক। কারণ, একজন রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার ২০-২৫ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে উচ্চপর্যায়ে পৌঁছান। যদি তাঁর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে সরকার তাকে নিয়োগ দেয় না।’
তৌফিক হাসান বলেন, যাঁরা রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন, তাঁরা ভালো কাজ করছেন না এবং এর মাধ্যমে তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা বাংলাদেশ সরকারের নেতিবাচক ভাবমূর্তি বিদেশের মাটিতে তুলে ধরছেন। সরকার কিন্তু জেনেশুনেই একজন যোগ্য ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিষয়ে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়ে তৌফিক হাসান বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ থাকবে, আপনারা ভেতরের খবরটা জেনেবুঝে খবরটা করবেন। এমন কোনো কাজ করবেন না, যা বাংলাদেশের নেতিবাচক ভাবমূর্তি বাইরে তুলে ধরে।’