রাজধানীর তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে ‘পেট্রলবোমা’ নিক্ষেপের ঘটনার জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে মিছিল করেছেন তাঁতীবাজার এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন। আজ শনিবার বিকেলে এই মিছিল করা হয়। আশপাশের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মিছিল শেষ করেন অংশগ্রহণকারীরা।
এদিকে পূজামণ্ডপে ‘পেট্রলবোমা’ নিক্ষেপের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। তবে তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপের কাছ থেকে আটক তিনজনের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক খান আজ সন্ধ্যার সময় প্রথম আলোকে বলেন, তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি চেয়ে স্থানীয় লোকজন একটা মিছিল করেছেন বলে জানতে পেরেছেন। তবে পূজামণ্ডপে গতকালের হামলার ঘটনায় তাঁতীবাজার পূজা কমিটির পক্ষ থেকে থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, আগামীকাল রোববার তাঁরা মামলা করবেন।
তাঁতীবাজার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূজামণ্ডপে হামলার অভিযোগে তাঁতীবাজারে অন্তত দুই শতাধিক ব্যক্তি তাঁতীবাজার পূজামণ্ডপের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন। পরে মিছিলটি শাঁখারীবাজার, ঝুলনবাড়ী, গোয়ালবাড়ী মোড় হয়ে আবার তাঁতীবাজার মোড়ে ফিরে আসে। তাঁদের দাবি, পূজামণ্ডপে যাঁরা হামলা করেছেন, রক্তাক্ত করেছেন, তাঁদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
এদিকে সন্ধ্যার পর তাঁতীবাজার এলাকার পূজামণ্ডপগুলোর আশপাশে আলোকসজ্জা বন্ধ রাখা হয়েছে। আলো না থাকায় পুরো এলাকায় ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
কোতোয়ালি থানার ওসি এনামুল হক খান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁতীবাজার পূজামণ্ডপে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তাঁতীবাজার পূজা মণ্ডপসহ অন্যান্য পূজামণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন।
পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে একটি ‘পেট্রলবোমা’ নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সেটিতে সামান্য আগুন ধরলেও কেউ হতাহত হননি। কালো হয়ে যাওয়া সলতেসহ পেট্রলভর্তি কাচের বোতলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় লোকজন বলছেন, পূজামণ্ডপের পাশের একটি গলি থেকে কয়েকজন যুবক পূজার মঞ্চ লক্ষ্য করে একটি বোতল ছুড়ে মারেন। স্বেচ্ছাসেবকেরা হামলাকারীদের ধরতে গেলে তাঁরা ছুরিকাঘাত করেন। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।