বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল রাইসুল ইসলাম। ১২ মে ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর রাইসুলের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। ভালো প্রস্তুতি নিয়েও সাধারণ গণিতে পাস নম্বর তুলতে পারেনি সে। কিন্তু পাস করতে পারবে না, এমনটা তার ও পরিবারের কারও বিশ্বাসই হচ্ছিল না। পরে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করে।
আজ মঙ্গলবার পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা গেল, রাইসুল গণিতে ৭৭ বা এ গ্রেড পেয়েছে। সব মিলিয়ে তার ফল হয়েছে জিপিএ-৫। এর মধ্যে বাংলায় পেয়েছে এ প্লাস, ইংরেজিতে এ, গণিতে এ, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে এ প্লাস, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষায় এ প্লাস, পদার্থবিজ্ঞানে এ প্লাস, রসায়নে এ প্লাস, জীববিজ্ঞানে এ প্লাস, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে এ প্লাস, উচ্চতর গণিতে এ, শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলায় এ প্লাস, ক্যারিয়ার শিক্ষায় এ প্লাস পেয়েছে।
জিপিএ–৫ পাওয়ার পর থেকে রাইসুলের পরিবারে আনন্দ থামছেই না। বাবা বি এম লাবলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম দিন ফলাফল পেয়ে খুব দুশ্চিন্তা শুরু হলো। ছেলে অকৃতকার্য হওয়ার কথা নয়। প্রস্তুতি ভালো ছিল। সব গুছিয়ে পড়েছে। এ কারণে পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা হয়। পরে আজ ফলাফল পেয়ে দুশ্চিন্তাটা কেটে গেল। সবাই খুশি।
রাইসুল পরীক্ষা দিয়েছে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর এলাকায় অবস্থিত হাউজিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কান্তি সেন প্রথম আলোকে বলেন, রাইসুল মনোযোগী ছাত্র ছিল। তার ফেল করাটা অবিশ্বাস্য ঠেকেছে। তবে আজ ফল জেনে ভালো লাগল।
তাপস কান্তি সেন আরও জানান, বিদ্যালয় থেকে ১২৭ জন পরীক্ষা দিয়েছিল এবার। এর মধ্যে ১২৬ জন পাস করেছে ও ৩২ জন জিপিএ–৫ পেয়েছে।
১২ মে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এ বছর পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫৩ জন। পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ জন। তবে ফলাফলে সন্তুষ্ট না হয়ে ২৮ হাজার ৩৫১ শিক্ষার্থী পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করে। মোট ৭৬ হাজার ৪২টি উত্তরপত্র যাচাইয়ের জন্য আবেদন জমা হয়। আজ পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ফেল থেকে পাস করেছে ১০২ শিক্ষার্থী। ৭০৬ শিক্ষার্থীর জিপিএ ও সিজিপিএ বেড়েছে।