পুলিশের কাজে ফিরতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই

নুরুল হুদা: এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাজে ফেরাতে হবে।

নুরুল হুদা: এই মুহূর্তে নিয়মিত বাহিনীতে যাঁরা আছেন তাঁদের দিয়ে কাজ করাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের অধস্তনদের কাজের জন্য নিয়ে আসতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যাঁরা মূল দায়িত্বে আছেন, তাঁদের কাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। ইতিমধ্যে অস্থায়ী ভিত্তিতে আনসার ভিডিপি (আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী) কাজ শুরু করেছে। তবে পুলিশের কাজে ফিরে আসতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। ছাত্ররা খুব ভালো করছে, তারা রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু এটা স্থায়ী কোনো ব্যবস্থাপনা নয়। যদিও সরকার এখনো হয়নি। সরকার গঠন করা হলে এটা ঠিক হয়ে যাবে।

নুরুল হুদা: এসব রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থাপনা করতে হবে। অনেক জায়গায় সাধারণ মানুষ পাহারা দিচ্ছে। এসব স্থানে কিছু ঘটার আগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কিছু ঘটলে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। জানমাল রক্ষার দায়িত্ব সবার। বিশেষ করে সংখ্যালঘুরা কোনো ঘটনার শিকার হলে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

নুরুল হুদা: পুলিশের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশকে জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। যদিও সেটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। পুলিশ রাজনৈতিক নির্দেশনায় কাজ করে। পুলিশ আইনের ভেতরে থেকে কাজ করলে তাদের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে পুলিশকে আইন মেনে কাজ করতে হবে। যা খুশি তা নয়।

নুরুল হুদা: পুলিশের জন্য এখন কাজের পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। পুলিশের মধ্যেও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়নের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের কাজ শুরু করতে বলতে হবে।

নুরুল হুদা: যেটা দেখা গেছে তাতে শেখ হাসিনার সরকার মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছিল, আইনানুগ বলপ্রয়োগ করা হয়নি। রাজনৈতিকভাবে সমস্যার প্রকৃত অনুধাবন করতে পারেনি। শিক্ষা নিতে হবে আইনানুগ পন্থায় চলবেন, যেটা আইনানুগ সেটা করবেন।