বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতার সামনে সমাবেশ করেন আলোকচিত্রীরা। ঢাকা, ৪ আগস্ট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতার সামনে সমাবেশ করেন আলোকচিত্রীরা। ঢাকা, ৪ আগস্ট

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি আলোকচিত্রীদের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন আলোকচিত্রীরা। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’ ভাস্কর্যের সামনে ‘আলোকচিত্রী সমাজের’ ব্যানারে সমাবেশ করেন তাঁরা।

সমাবেশে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, ‘আলোকচিত্রীরা কালের সাক্ষী। আমরা প্রামাণ্য দলিল ধরে রেখেছি, যেগুলো প্রমাণ করে এই সরকার কত নিপীড়ক, যা এই সরকার অস্বীকার করেছে। এখানে অনেকে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন, আমি তা করছি না।...জনগণ এখন দেশ চালাবে। কারা চালাবে, কীভাবে চালাবে, সেই সিদ্ধান্তই শুধু নেওয়া বাকি।’

আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন বলেন, ‘আমি উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরশাসনসহ বাংলাদেশের ইতিহাসের অনেক পর্ব দেখেছি। কয়েক দিন ধরে যা হচ্ছে, তা দেখে মনে হচ্ছে সেই ষাটের দশক চলে আসছে। এটা তো স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের কাছে কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে গণ–আদালতে।’

বর্তমান সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী’ আখ্যায়িত করে লেখক ও শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ বলেন, ‘কোনো ধরনের চক্রান্তে যাতে আমরা পা না দিই, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

সমাবেশে গান ও স্লোগানের মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানান আলোকচিত্রীরা। এরপর মিছিল নিয়ে স্বোপার্জিত স্বাধীনতা থেকে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয় সমাবেশ। এতে আরও অংশ নেন আলোকচিত্রী ইমতিয়াজ আলম বেগ, তাসলিমা আখতার, সাইফুল হক, আমিরুল রাজীব, জান্নাতুল মাওয়া, সাদিয়া মরিয়মসহ অনেকে।