দুই পক্ষের সংঘর্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির একটি ওয়ার্ডের সম্মেলন পণ্ড হয়ে গেছে। শনিবার বিকেলে নগরের পাহাড়তলী সাগরিকা এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ওই ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির সাত নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
সাগরিকা এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে নগরের ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনের স্থান নির্ধারিত ছিল।
নগর বিএনপি সাবেক সহ–যুববিষয়ক সম্পাদক আজাদ বাঙ্গালী প্রথম আলোকে বলেন, ‘১১ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলন ডাকা হয়েছে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে আমাদের কাউকে জানানো হয়নি। কাজী বেলাল নিজের মানুষকে নিয়ে ওয়ার্ডে না গিয়ে অন্য ওয়ার্ডে সম্মেলন করার প্রস্তুতি নেন। আমরা সেটি প্রতিহত করেছি। মারামারি হয়েছে, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিতে কাজী বেলালের লোকজন সেখানে ভাঙচুর চালান।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী বেলাল অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তৃণমূল পর্যায়ে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্মেলনের বিষয়ে নেতা-কর্মীদের আগেই জানানো হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে কাজী বেলাল বলেন, ‘যে স্থানের সম্মেলন ডাকা হয়েছে সেটি ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানার কাছাকাছি। অনেক চেষ্টা করে স্থানীয় নেতারা ১০ নম্বর ওয়ার্ডে কমিউনিটি সেন্টার পাননি।’
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সাগরিকা এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারা চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে। কয়েকজন সামান্য আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক জাফর আলমসহ সাতজনকে আটক করে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।