মামলা
মামলা

যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় সাত সাংবাদিক আসামি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি সাতজন সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মামলাটি করেন যাত্রাবাড়ীতে নিহত শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদারের (১৭) বাবা মো. কামরুল ইসলাম।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় নাঈম। তাঁর বাবার করা এই মামলায় আসামি হিসেবে শেখ হাসিনা ও ১৪ দলের শরিক বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ ১৯৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে নাম থাকা সাংবাদিকেরা হলেন একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধান প্রতিবেদক-উপস্থাপক ফারজানা রুপা; সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের, এটিএন নিউজের সাবেক বার্তাপ্রধান মুন্নী সাহা, গ্লোবাল টেলিভিশনের সাবেক প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।

এসব ব্যক্তির মধ্যে শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে গত বুধবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা উত্তরা পূর্ব থানার একটি মামলায় বর্তমানে রিমান্ডে আছেন।

বিজেসির উদ্বেগ: ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) গতকাল এক বিবৃতিতে শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে হত্যা মামলায় রিমান্ডে নেওয়া এবং সর্বশেষ যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় সাত সাংবাদিককে আসামি করার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত শাসনামলে নিপীড়নমূলক আইন ও কর্তৃত্ববাদী আচরণ, মালিকানার ধরন ইত্যাদি কারণে টেলিভিশন সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ছাত্র-জনতার সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্র তৈরির আশা জেগেছে। আবার সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা পুরোনো উদ্বেগকে নতুন করে হাজির করেছে।