বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন হাজারো মানুষ। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ আজ শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। আরেকটি অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
আজ বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। এরপর সেখানে আরও ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভের পর সাড়ে ছয়টার দিকে থেকে আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনার এলাকা ছাড়তে শুরু করেন।
বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ শহীদ মিনার থেকে টিএসসি এলাকায় রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। আরেকটি অংশ শাহবাগ অভিমুখে মিছিল নিয়ে এগোতে থাকেন। মিছিলটি শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ সেখানে থাকা পুলিশকে লক্ষ্য করে পানির বোতল ছোড়েন। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের একাংশ শাহবাগ থানার সামনে মানবঢাল তৈরি করে পুলিশের ওপর যেকোনো ধরনের আক্রমণ ঠেকান।
পরে শাহবাগ মোড়ের সড়কে গিয়ে অবস্থান নেন বিপুলসংখ্যক আন্দোলনকারী। সন্ধ্যা ৭টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও তাঁরা শাহবাগে বিক্ষোভ করছিলেন। তখনো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজারো মানুষ অবস্থান করছেন। রাজু ভাস্কর্যেও বিক্ষোভ চলছে।
এদিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানও আজ বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছিলেন। শিক্ষার্থীদের ঘোষিত এক দফা কর্মসূচির বিষয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রচণ্ড ক্ষোভ থেকেই সরকার পতনের এই এক দফা দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর ধারণা। শিক্ষার্থী ও ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো হয়েছে। এটি তাঁরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। এ জন্যই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জনতা রাস্তায় নেমে এসেছে। যারা মানুষের বাক্স্বাধীনতা নষ্ট করে, নির্বিচারে গুলি ও অত্যাচার করে, এ রকম সরকারের শেষ পরিণতি দ্রোহের মাধ্যমে হয়। সরকারকে তাদের আত্মবিবেক জাগ্রত করতে হবে। স্বৈরাচারে অনাস্থা, জনগণে আস্থা- এটাই শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে প্রমাণিত হলো।