প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘আমরা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই যেন, সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরি করতে পারি। কেননা, ধর্ম–বর্ণ–নির্বিশেষে সুখ–শান্তিতে বসবাস করার পূর্ব শর্তই হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে জাগিয়ে তোলা।’
আজ রোববার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন। এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর সুপ্রিম কোর্ট ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে অবস্থিত ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব’ স্মারক সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর সঙ্গে এ সময় আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর শিশুদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।…আজকের এদিনকে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে এই কারণে যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে প্রতিভা ছিল, যে প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে তিনি উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছেন, তিনি যে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেভাবে একটি জাতির জন্ম দিয়েছেন, সারা পৃথিবীতে এই প্রথম কোনো বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর পেছনে তাঁর যে অবিরাম স্ট্রাগল (সংগ্রাম), এটি শিশুদের বোঝানো দরকার। তাদের জানানো দরকার।
প্রধান বিচারপতি বলেন, এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু আন্দোলন সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন করেছেন। এমনকি জীবন দিয়ে দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত শিশুদের মধ্যে চকলেট বিতরণ করেন।