কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থী হত্যার বিচার, গ্রেপ্তার হয়রানি বন্ধ ও তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষক। যেকোনো প্রয়োজনে তাঁরা শিক্ষার্থীদের পাশে আছেন বলে ঘোষণা দেন।
চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরায় আয়োজিত সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এ সময় তাঁদের হাতে ‘নিরস্ত্র ছাত্র হত্যার বিচার চাই’, ‘দমন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা’ ও ‘শিক্ষার্থীদের পাশে শিক্ষক’ লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক নোভা আহমেদ বলেন, ‘প্রয়োজনের সময় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ওরা আহত হচ্ছে, গ্রেপ্তার হচ্ছে। পথেঘাটে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ ও হয়রানি করা হচ্ছে। এ রকম ভয়ভীতি দেখানো চলতে থাকলে দীর্ঘ মেয়াদে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। আমরা এসবের অবসান চাই।’
স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, একজন শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষকের দায়িত্ব শুধু ক্লাসরুমের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং শিক্ষার্থীদের নৈতিক বিবেচনাসম্পন্ন একজন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাও।
ইংরেজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মুশাররাত শর্মি বলেন, ক্যাম্পাসের সামনে থেকে প্রিজন ভ্যানে করে শিক্ষার্থীদের যদি তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে কীভাবে তাঁরা বিশ্ববিদ্যলয়ে ফেরার সাহস পাবেন?
আইন বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক সাকিব রহমান বলেন, আন্দোলন করা প্রত্যেক নাগরিকের একটি সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার প্রয়োগ করতে গেলে রাষ্ট্র বাধা দিতে পারে না।