যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক লালন ও লোক উৎসব। আগামী ১৯ ও ২০ অক্টোবর নিউইয়র্কের কুইন্সে জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে এ উৎসবের আয়োজন করা হবে।
এবারের আন্তর্জাতিক লালন ও লোক উৎসবের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের লালন পরিষদ। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ উৎসবের খুঁটিনাটি তুলে ধরেন আয়োজকেরা। এর আগে ২০২২ সালে নিউইয়র্কের একই স্থানে প্রথম লালন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লালন উৎসব ছাড়া তাঁরা আরও তিনটি উৎসবের আয়োজন করেছেন। সেগুলো হলো রবীন্দ্র উৎসব, সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব ও জ্যোৎস্না উৎসব। এই উত্সবগুলো নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকায় সাড়া ফেলেছে। একই সঙ্গে বিদেশের মাটিতে বাংলা সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে বড় ভূমিকা রাখছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের লালন উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খানের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকেরা বলেন, এবারের লালন উৎসবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন লালন-গবেষক কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেলিম তোহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
লালন উৎসব মাতিয়ে রাখতে বাংলাদেশ থেকে আরও যাওয়ার কথা রয়েছে একুশে পদকপ্রাপ্ত লোকসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন, বরেণ্য বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম, লালন-গবেষক দেবোরা জান্নাত, রাখি শবনম, বাউলশিল্পী কালা মিয়া ও সংগীতশিল্পী সুলতানা ইয়াসমিন লায়লার।
এবারের লালন উৎসবের আহ্বায়ক আবদুল হামিদ, প্রধান উপদেষ্টা নুরুল আমীন, সমন্বয়কারী স্বীকৃতি বড়ুয়া, গোপাল স্যান্ন্যাল, হাসানুজ্জামান সাকি ও সুখেন জোসেফ গোমেজ। শিল্পনির্দেশক হিসেবে আছেন জাহেদ শরীফ। গণমাধ্যম সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পিনাকী তালুকদার। অনুষ্ঠানের সহযোগী হিসেবে সম্পৃক্ত আছেন শুভ রায় ও সাহানা ভট্টাচার্য।