উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্রের বারান্দাসহ প্রবেশপথে পানি উঠেছে। তাই পানিতে বেঞ্চ ফেলে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন। বেলগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বিএম কলেজ কেন্দ্র, ইসলামপুর, জামালপুর, ৭ জুলাই
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্রের বারান্দাসহ প্রবেশপথে পানি উঠেছে। তাই পানিতে বেঞ্চ ফেলে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন। বেলগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বিএম কলেজ কেন্দ্র, ইসলামপুর, জামালপুর, ৭ জুলাই

বন্যা ১৮ জেলায় বিস্তৃত, ক্ষতির শিকার ২০ লাখ মানুষ

আরও তিন জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। এ নিয়ে দেশের মোট ১৮ জেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়ল।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আজ রোববার আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলার সংখ্যা ১৮। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। বন্যাদুর্গতদের জন্য তিন হাজার আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৪০ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার্তদের চিকিৎসার জন্য ৬১৯টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পানি এবং ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত একনেক বৈঠকে সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে সবাইকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী বন্যা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ‘শনিবার সরকারি ছুটি থাকলেও আমাদের সব কটি কার্যালয় খোলা রাখা হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তা–কর্মীরা কাজ করছেন।’

মহিববুর রহমান আরও জানান, দুর্গতদের প্রয়োজনীয় সহায়তার লক্ষ্যে, এ পর্যন্ত ১৮ জেলায় ২১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ৬৫ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনা ও অন্যান্য খাবার, গো-খাদ্য বাবদ ৪০ লাখ টাকা এবং শিশুখাদ্যের জন্য ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন নদ–নদীর ১১০টি পয়েন্টের ৫৯টিতে পানি বেড়েছে। আর ৪৯টিতে কমছে। বাকিগুলোতে স্থির আছে। লালমনিরহাট জেলায় তিস্তার পানি বেড়েছে। এর ফলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদী এখন বিপৎসীমার কাছাকাছি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। তবে নদীর পানিপ্রবাহ এখনো বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।