ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালে দুই শর মতো ছাত্র হত্যার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
গত ২৭ অক্টোবর ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এই পুলিশ কর্মকর্তাদের একজন শাহিদুল। তাঁর সবশেষ কর্মস্থল কক্সবাজার। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, শাহিদুলকে গতকাল বুধবার কক্সবাজারে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কক্সবাজার থেকে নিয়ে এসে তাঁকে আজ সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সাভার অঞ্চলে দুই শর মতো ছাত্রকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যার অভিযোগ আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত আসাদুল ইয়ামিন নামের এক ছাত্রকে হত্যা। তাঁকে গুলিবিদ্ধ, অচেতন অবস্থায় এপিসি (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, সাভার অঞ্চলে যে শহীদ ও অসংখ্য মানুষকে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে, সে সময় শাহিদুল সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। তদন্ত সংস্থা তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। এ কারণে ট্রাইব্যুনালের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছিল।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, শাহিদুলের বিরুদ্ধে লাশ পোড়ানোসহ কয়েকটি মামলায় রয়েছে আশুলিয়া ও সাভার থানায়।