সিজিএসের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা করছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার। আজ ১৮ নভেম্বর, রাজধানীর একটি হোটেলে
সিজিএসের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা করছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার। আজ ১৮ নভেম্বর, রাজধানীর একটি হোটেলে

‘রাজনৈতিক মতপার্থক্যের’ ঊর্ধ্বে ব্যবসাকে কাজে লাগানো উচিত: পাকিস্তানের হাইকমিশনার

দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষ করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কূটনীতির নতুন যুগের সূচনা হয়েছে বলে মনে করেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। তাই দুই দেশের অবশ্যই রাজনৈতিক মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে বাণিজ্য জোরদারের সুযোগকে কাজে লাগানো উচিত।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতায় সৈয়দ আহমেদ মারুফ এ মন্তব্য করেন। গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনে (বঙ্গোপসাগরীয় সংলাপ) নির্ধারিত বক্তা হিসেবে রাষ্ট্রদূত বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের বক্তৃতার প্রতিপাদ্য ছিল, ‘আধুনিক যুগে অর্থনৈতিক কূটনীতি’। তিনি তাঁর বক্তৃতায় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আন্তরাষ্ট্রীয় বাণিজ্যের সম্ভাবনা এবং বর্তমান হালচাল নিয়ে কথা বলেন। এরপর তিনি কথা বলেন দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে।

দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বর্তমান পরিসংখ্যান এবং সম্মিলিত অর্থনীতির আকারের তুলনায় বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন পাকিস্তানের হাইকমিশমনার। তিনি বলেন, সঠিক রাজনৈতিক সদিচ্ছা, বাণিজ্য সহজীকরণ ব্যবস্থার বর্ধিতকরণ এবং অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর নতুন করে গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান বাণিজ্যের পরিমাণ যথেষ্ট বাড়াতে পারে। দুই দেশ বস্ত্র, কৃষি, জ্বালানি এবং প্রযুক্তির মতো খাতে সহযোগিতার নতুন উপায় খুঁজতে পারে।

পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, ‘বাণিজ্য শুধু আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে না, বরং এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনে অবদান রাখবে। যেহেতু আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার সুযোগের জন্য উন্মুখ হয়ে আছি, আমার বিশ্বাস, আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক আগামী বছরগুলোতে দুই দেশের সম্পর্কের একটি মূল স্তম্ভ হবে।’

আহমেদ মারুফ বলেন, ১১ নভেম্বর মাত্র ১০ দিনের মধ্যে করাচি থেকে একটি জাহাজ সরাসরি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। এ ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে দুই দেশের ব্যবসার সম্প্রসারণকে উৎসাহ জোগাবে।

পাকিস্তানি হাইকমিশনার বলেন, ‘বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আঞ্চলিক একীকরণের ওপর জোর দিয়ে দুই দেশের জনগণের বৃহত্তর সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার স্বার্থে আমরা একটি পথ ধরে এগোতে পারি। তাই আমাদের অবশ্যই রাজনৈতিক মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে নিবিড় বাণিজ্য সম্পর্কের স্বার্থে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।’