অধ্যাপক এম এ ফয়েজের নেতৃত্বে গঠিত স্বাস্থ্য খাত সংস্কারবিষয়ক কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কার্যপরিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় অংশ নেওয়া কমিটির চারজন সদস্যের সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য জানা গেছে।
এই কমিটি কত দিনে কাজ শেষ করবে, তা নির্ধারণ করা হয়নি। তবে কমিটি যৌক্তিক সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সংস্কার প্রস্তাব জমা দেবে। আজকের সভায় করণীয় বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিষয়ভিত্তিক সংস্কার, চিকিৎসাসেবার গুণগত মানোন্নয়ন, স্বাস্থ্যব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণে ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে ৩ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত এই কমিটির সভাপতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক এম এ ফয়েজ এবং সদস্যসচিব জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আবদুল্লাহ শাফি মজুমদার। কমিটির সবাই অধ্যাপক।
কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য মো. সায়েদুর রহমান, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক মাহমুদুর রহমান, অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি ফেরদৌসি বেগম, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক ফিরোজ কাদের, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক সানিয়া তাহমিনা, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শাকিল আহমেদ, সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, বিএসএমএমইউর মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান এম এ জলিল চৌধুরী এবং এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক সরকার মাহবুব আহমদ শামীম।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এই কমিটি স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রয়োজনীয় বিষয়ভিত্তিক সংস্কারের জন্য নীতি প্রণয়ন করবে; সব স্তরে চিকিৎসা শিক্ষার বিশ্বমানের স্বীকৃতি ও উচ্চশিক্ষার আধুনিকায়নে পরামর্শ দেবে; নগর, গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যমান স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করবে; স্বাস্থ্যব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জনবল ও যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে নীতি ঠিক করার পাশাপাশি কাঠামো সংস্কারে পরামর্শ দেবে এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি), বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) মতো নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের কাঠামো সংস্কার ও শক্তিশালীকরণে পরামর্শ দেবে। এ ছাড়া কমিটি আরও কিছু বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করবে।