কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা বাসে ডাকাতদের দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরে তাঁকে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেহেনা পারভীন বলেন, তিন সদস্যের মেডিকেল টিম পরীক্ষা করেছে। কিছু সাইন পজিটিভ আছে। সাইন অব স্ট্রাগল রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। তাঁর সোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়েছে। জবানবন্দি নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি বাসে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল বাসটি কয়েক ঘণ্টা তাদের নিয়ন্ত্রণে রেখে ভেতরে যাত্রীদের মারধর ও লুটপাট চালায়। এ সময় এক নারী যাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে বাসটিকে রাস্তার পাশে কাত করে ফেলে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়।
টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত রাজা মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া রাজা মিয়ার কাছ থেকে দুটি ছুরি, একটি কাঁচি এবং যাত্রীদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া তিনটি মুঠোফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজা মিয়া এই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ঈগল পরিবহনের চালককের কাছ থেকে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর রাজা মিয়া ডাকাতির সময় গাড়ি চালিয়েছেন।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন জানান, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডাকাতির সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।