বাবুলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ইলিয়াসকেও আসামি করে পিবিআইপ্রধানের মামলা

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার
ফাইল ছবি

মাহমুদা খানম হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ ও প্রচারের অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার মামলা করেছেন। আজ মঙ্গলবার রাত পৌনে আটটার দিকে ঢাকার ধানমন্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করা হয়।

মামলায় বাবুল আক্তারকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি করা হয়েছে ইলিয়াস হোসাইনকে। অন্য দুই আসামি হলেন বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবুলের বাবা ওয়াদুদ মিয়া।

পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ প্রথম আলোকে বলেন, পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে অভিযোগ নিয়ে ধানমন্ডি থানায় যান পিবিআইয়ের ঢাকা উত্তর অঞ্চলের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর মামলাটি গ্রহণ করেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া।

এর আগে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পিবিআইপ্রধানসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাবুল আক্তার মামলা নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। দুই দিন আগে সেই আবেদন আদালত খারিজ করে দেওয়ার পর আজ পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।

পিবিআইয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, মাহমুদা হত্যা মামলা নিয়ে বাবুল আক্তারসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইলিয়াস হোসাইন ফেসবুক ও ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। এতে পিবিআই এবং পিবিআইয়ের প্রধানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাবুল আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান ও তাঁর বাবা আবদুল ওয়াদুদের যোগসাজশে ইলিয়াস হোসাইন এ ধরনের তথ্য সরবরাহ ও প্রচার করেন। এ কারণে তাঁদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার প্রথমে বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই গত বছরের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই। বাবুল বর্তমানে কারাগারে আছেন।