সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জবানবন্দি দিলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। পরে তিনি এক বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেন। এরপর বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের আইনজীবী জসীম হান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক আইজিপিকে সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়েছে। পরে তিনি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এজলাস থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় একনজর তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে। কোনো কথা হয়নি।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। এরপর পৃথক ১০টি মামলায় তাঁর ৫৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এখন পর্যন্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের বিরুদ্ধে কেবল ঢাকায় ১০৭টি হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা দায়েরের তথ্য মিলেছে। এরপর গত ২৭ অক্টোবর চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ছাড়া শেখ হাসিনার সরকারের সাবেক বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সরকারি আমলা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার শীর্ষ পর্যায়ের অন্তত ৯০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ২০ জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।