বেশির ভাগ সংস্থারই পর্যাপ্ত লোকবল নেই। এসব সংস্থার নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দক্ষতা ও সক্ষমতা আছে কি না, সে প্রশ্ন সামনে এসেছে।
কোনো কার্যক্রম নেই, এমন কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য নির্বাচিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত মোট ৬৮টি সংস্থার মধ্যে কয়েকটির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততারও অভিযোগ উঠেছে। বেশির ভাগ সংস্থারই পর্যাপ্ত লোকবল নেই। ফলে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার মতো দক্ষতা ও সক্ষমতা এসব সংস্থার আসলেই আছে কি না, সে প্রশ্ন সামনে এসেছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনযোগ্য’ ৬৮টি দেশি বেসরকারি সংস্থার তালিকা ইসি প্রকাশ করে গত মঙ্গলবার। এই তালিকা থেকে গত বুধবার ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ৩২টি সংস্থার বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজখবর নিয়েছেন প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে ৭টি সংস্থার আসলে কোনো কার্যক্রম নেই, এগুলো মূলত নামসর্বস্ব। আর অন্তত ১০টি সংস্থার পরিচালনা পর্ষদে থাকা ব্যক্তিদের বা তাঁদের নিকটাত্মীয়দের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
ইসির নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব সংস্থা গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে এবং গঠনতন্ত্রে এ বিষয়সহ সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে তথ্য প্রচার ও উদ্বুদ্ধ করার অঙ্গীকার রয়েছে, কেবল সেসব বেসরকারি সংস্থাই নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারে। ইসি যেসব সংস্থাকে বাছাই করেছে, সেগুলোর গঠনতন্ত্রে এমন কথা থাকলেও বাস্তবে প্রায় কোনো সংস্থারই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে তথ্য প্রচার বা জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার কোনো কার্যক্রম নেই।
কোনো দলের পদে থাকা ব্যক্তিদের নিকটাত্মীয় পর্যবেক্ষক হলে বা কারও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় থাকলে নিরপেক্ষ মতামত দেওয়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকে।বদিউল আলম মজুমদার, সম্পাদক, সুজন
সেবা সোশ্যাল ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি সংস্থাকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধনযোগ্য সংস্থার তালিকায় রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৬৮টি নিবন্ধনযোগ্য সংস্থার যে তালিকা ইসি গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করেছে, সেখানে লক্ষ্মীপুরের এই সংস্থাটির অবস্থান ২ নম্বরে। এই সংস্থার পক্ষ থেকে নিবন্ধনের আবেদন করেছেন কমলনগরের হাজির হাটের জসীম উদ্দীন রিপন। তিনি ওই সংস্থার নির্বাহী পরিচালক।
গত বুধবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেবা সোশ্যাল ফাউন্ডেশন নামের সংস্থাটির কার্যক্রম পাঁচ বছর ধরে বন্ধ। তাদের কোনো কার্যালয় নেই, কোনো লোকবলও নেই। শুরুতে একটি ভাড়া অফিসে ছোট পরিসরে কার্যক্রম ছিল। তখনো তাদের কোনো জনবল ছিল না। নির্বাহী পরিচালক জসীম উদ্দিন পাঁচ বছর ধরে সৌদি আরবে রয়েছেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে সেবা সোশ্যাল ফাউন্ডেশনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেবার কার্যক্রম দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বন্ধ এবং পরিচালক জসীম উদ্দিন দেশের বাইরে রয়েছেন। এটি তদন্তে পাওয়া গেছে এবং তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
ইসির তালিকায় থাকা আরেকটি সংস্থা হলো মানিকগঞ্জে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কমিশন। ২০০৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মহাসচিব নুরুল ইসলাম সাত্তার। তিনি মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. রমজান আলীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।
মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার দক্ষিণ সেওতা এলাকার একটি চারতলা ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটের তিন কক্ষবিশিষ্ট কার্যালয়। তবে বছরের অধিকাংশ সময় কার্যালয় তালাবদ্ধ থাকে। স্থানীয় বিভিন্ন পেশার ১০ জন ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, এই সংস্থাটির কোনো কার্যক্রম তাঁদের চোখে পড়েনি। তবে বিগত সময়ে জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনে সংস্থাটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম সংস্থার পক্ষ থেকে একাধিক ব্যক্তির নামে নির্বাচনের পর্যবেক্ষক কার্ড নিয়েছিলেন। তাঁরা বিশেষ বিশেষ প্রার্থীর পক্ষ হয়ে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে সংস্থাটির ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে।
সংস্থাটির মহাসচিব বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি দাবি করেন, তাঁর সংস্থায় লোকবল আছে।
জামালপুর জেলার সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এসপিকে), সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গনাইজেশন (এসডিও) ও রুরাল অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (রাইডো) নামের তিনটি সংস্থা ইসির তালিকায় আছে। এই তিনটি সংস্থার বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাস্তবে এখন এই তিন সংস্থার কোনোটিরই কোনো কার্যক্রম নেই। স্থানীয় লোকজনও এসব সংস্থা সম্পর্কে কিছু জানেন না।
পাবনার আজমপুর শ্রমজীবী উন্নয়ন সংস্থা ২০১৮ সালে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিল। এবারও তাদের নাম তালিকায় আছে। তবে এখন এই সংস্থার তেমন কোনো কার্যক্রম নেই।
তালিকায় থাকা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার হিউম্যান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (হিডস) নামের প্রতিষ্ঠানটির কোনো ধরনের কার্যক্রম নেই। নামমাত্র একটি কার্যালয় আর সাইনবোর্ড থাকলেও কোনো কর্মী নেই। সারা বছর সে কার্যালয়ে ঝুলে থাকে তালা।
প্রথম আলো প্রতিনিধি গত বুধবার বেলা ১১টায় ওই কার্যালয়ে গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পান। এক ঘণ্টা অবস্থান করেও কাউকে সেখানে দেখা যায়নি। স্থানীয় অন্তত ১০ জন মানুষের সঙ্গে হিডসের কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁদের কেউই সংস্থাটির কোনো কার্যক্রমের কথা জানেন না বলে জানান। তবে সাইবোর্ডে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৪ সাল লেখা। হিডসের সাইনবোর্ড ঝোলানো ঘরটি কখনোই খোলা দেখেননি বলে জানান আলাল উদ্দিন নামের স্থানীয় একজন বাসিন্দা।
মুক্তাগাছা উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে মইষাদিয়া গ্রামে হিডসের প্রতিষ্ঠাতা রুহুল আমিনের বাড়ি। তবে তিনি থাকেন ঢাকায়। প্রথম আলোর প্রশ্নের জবাবে রুহুল আমিন বলেন, এর আগে মুক্তাগাছার কয়েকটি ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন তাঁরা। তখন কিছু লোক নিয়োগ করা হয়েছিল। এবারও তিনি শুধু মুক্তগাছায় কাজ করবেন। নির্বাচনের আগে এ কাজের জন্য কিছু লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। ঢাকায় তাঁর সংস্থার কার্যালয় আছে বলে তিনি দাবি করেন।
পর্যবেক্ষক নীতিমালায় বলা আছে, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন বা আছেন কিংবা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সময়ের মধ্যে কোনো নির্বাচনের প্রার্থী হতে আগ্রহী কোনো ব্যক্তি যদি আবেদনকারী কোনো সংস্থার প্রধান নির্বাহী কিংবা পরিচালনা পর্ষদের বা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হয়ে থাকেন, তাহলে ওই সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হবে না।
তবে ইসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে এমন সংস্থাও আছে, যার প্রধান নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যেমন ফরিদপুরের হাইলাইট ফাউন্ডেশনের প্রধান মো. সহিদুল ইসলাম। তিনি ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ভাঙ্গা উপজেলায় (তৎকালীন ফরিদপুর-৫) লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। মো. সহিদুল ইসলাম দাবি করেন, বর্তমানে রাজনীতির সঙ্গে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি একজন সমাজসেবক। তিনি বলেন, ২০১১ সালে তাঁর সংস্থা নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধিত হয়। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন তাঁরা পর্যবেক্ষণ করেন। তবে মো. সহিদুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁর ভাই মো. শরিফুজ্জামান ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
জামালপুরের সংস্থা এসডিওর সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শরীফপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। ওই সংস্থার কোনো কার্যক্রম নেই। স্থানীয় লোকজন এই সংস্থা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
সরাসরি নিবন্ধিত দলের সঙ্গে না হলেও নিবন্ধিত দলের অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের সংস্থাও ইসির তালিকায় আছে। তেমন একটি সংস্থা ‘শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র’। সংস্থাটির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। রাজশাহীর স্বাস্থ্য শিক্ষা সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আর কে দত্ত রূপন। তিনি রাজশাহী মহানগর তাঁতী লীগের সহসভাপতি। আর কে দত্তের দাবি, তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় নন। তবে ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া নীতিমালার লঙ্ঘন নয়।
আবার এমন কিছু সংস্থাও ইসির তালিকায় আছে, যেগুলোর নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিদের নিকটাত্মীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আবদুল মোমেন খান মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রোকসানা খন্দকার। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের স্ত্রী। ডেমোক্রেসি ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক তালেয়া রহমান। সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত না হলেও তাঁর স্বামী শফিক রেহমান বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তবে এই দুটি সংস্থা সুপরিচিত। ২০১৫ সালে পৌরসভা নির্বাচনের আগে খান ফাউন্ডেশন ও ডেমোক্রেসি ওয়াচের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে ইসিতে আপত্তি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
ফরিদপুরে ‘এসো জাতি গড়ি’ নামের সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নাজমা আক্তার। তাঁর বাবা প্রয়াত নেজায়েতুল্লা বিএনপির নেতা ছিলেন। তাঁর ভাই মো. আহসানউল্লাহ ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বোন নাজনীন আক্তার ফরিদপুর পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর এবং জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক।
২০১৮ সালের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নাজমা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর দেখামতে ওই নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে। তিনি কোনো রাজনীতি করেন না। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ধ্যান ও জ্ঞান।
যশোরে ‘বাঁচতে শেখা’ সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের কোষাধ্যক্ষ মো. শাহজাহানের ভাই নাসির উদ্দীন যশোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। অন্যদিকে দিনাজপুরের সংস্থা বেসিকের নির্বাহী পরিচালক শ্যামল চন্দ্র সরকার কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্রমৈত্রীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান গত বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী নিবন্ধনযোগ্য সংস্থার তালিকা গণবিজ্ঞপ্তি আকারে দেওয়া হয়েছে। যাচাই–বাছাইয়ে কমিশন যেসব সংস্থার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা পেয়েছে, সেগুলোকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ইসি জানিয়েছে, তালিকায় থাকা সংস্থাগুলোর বিষয়ে কোনো আপত্তি থাকলে তা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে ইসিকে জানানো যাবে। আপত্তিগুলো নিয়ে শুনানি শেষে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়া হবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, যেসব সংস্থার পরিচালনা পর্ষদে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিকটাত্মীয় বা ঘনিষ্ঠজনেরা আছেন, তাদের নিবন্ধন দেওয়া আক্ষরিক অর্থে নীতিমালা ভঙ্গ করে না, কিন্তু এটি নৈতিকতার বিষয়। পর্যবেক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ হচ্ছে কি না, তা নিরপেক্ষভাবে দেখে মতামত দেওয়া। তিনি মনে করেন, কোনো দলের পদে থাকা ব্যক্তিদের নিকটাত্মীয় পর্যবেক্ষক হলে বা কারও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় থাকলে নিরপেক্ষ মতামত দেওয়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকে।
(প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা)