বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের কর্মসূচিতে গুলি চালানোর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে শ্রমিকদের ওপর দমন-নিপীড়ন থামানোর আহ্বান জানিয়েছে তারা। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় নাগরিক কমিটি বলেছে, ফ্যাসিবাদী হাসিনার আমলেও কারখানা মালিকেরা পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসী লীগকে ব্যবহার করে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে দমন-পীড়ন করেছে। নিজেদের দলীয় শ্রমিকনেতাদের মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকারকে কারখানার মালিকদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। পুরোনো ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারবার শ্রমিকদের জীবন বিপন্ন করছে। বেতন শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার। গার্মেন্টস মালিকপক্ষ এই বেতন-ভাতা সঠিক সময়ে পরিশোধ না করে এই সংকট জিইয়ে রাখে, যাতে সুযোগসন্ধানী তৃতীয় পক্ষ শ্রমিকদের ব্যবহার করে সুবিধা নিতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে পোশাকশ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে ২৩ অক্টোবর আশুলিয়ার নরসিংহপুর-কাশিমপুর সড়কের বাংলাবাজার এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। সেখানেও একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশের গুলিতে আহত হন চম্পা খাতুন নামের একজন নারী শ্রমিক। তিনি পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
জাতীয় নাগরিক কমিটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শ্রমিকদের ওপর গুলি চালানোর তীব্র নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে শ্রম কমিশন গঠন করে আন্তর্জাতিক শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণের আহ্বান জানায় বিজ্ঞপ্তিতে। একই সঙ্গে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় যৌক্তিক উপায়ে মীমাংসা করার আহ্বান জানায় জাতীয় নাগরিক কমিটি।