পারিবারিক সম্মানের কথা ভেবে অনেকে মানসিক অসুস্থতায় ভোগা ব্যক্তির রোগের কথা প্রকাশ করেন না বা চিকিৎসা করান না। অনেকে মনে করেন, ঝাড়ফুঁকে এই রোগ সারে; অনেকে এটিকে রোগই মনে করেন না। এসব রোগীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।
পরিবারের প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা থাকা দায়িত্বশীল মানুষটিও হঠাৎ আত্মহত্যা করে বসেন। আপনজনেরা ভেবে পান না, কেন এই চলে যাওয়া। তবে কি তাঁর কষ্টের সময়ের সঙ্গী হতে পারেননি তাঁরা? কবে থেকে কষ্ট জমে জমে পাহাড় হয়ে গেল! মাস দুয়েক আগে খুব কাছ থেকে এমন একটি ঘটনা দেখতে হয়েছিল। মা–বাবা নিজেদের দোষারোপ করছিলেন—কেন সন্তানের মনের তল খুঁজে পেলেন না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী কাজি সামিতা আশকার মুখে সব সময় থাকত মা–বাবা আর ছোট ভাইয়ের কথা। তবু গত ১ সেপ্টেম্বর সামিতা স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ কেন বেছে নিয়েছিলেন, সে প্রশ্নের জবাব খুঁজে পান না পরিবারের সদস্য, স্বজন ও বন্ধুরা। অনেক স্বপ্ন নিয়ে মালয়েশিয়ায় পড়তে গিয়েছিলেন ইরফান সাদিক সামিন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সেই দেশের একটি নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, সহপাঠীদের র্যাগিংয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে তাঁকে আত্মহননের পথ বেছে নিতে হয়েছে।
এক তরুণের সঙ্গে কথা হয়েছিল, যিনি কিনা শুধু মানসিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন। তাঁকে চাকরি হারাতে হয়েছিল। রাজধানীর নামকরা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী তাঁর গুরুতর মানসিক অসুস্থতার জন্য শৈশবের দুঃসহ একটি স্মৃতিকে দায়ী করেন। স্কুলের একটি ঘটনায় শিক্ষকেরা সবার সামনে তাঁকে অপমান করেছিলেন। কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
মনোচিকিৎসক ও চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা মনের অসুখ শনাক্ত করতে, মনের যত্ন নিতে নানা উপদেশ দিলেও এ দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে অনেকেই এটাকে কোনো সমস্যা মনে করেন না। ফলে মনকে কখন অসুস্থতা গ্রাস করে, সেটা টের পান না তাঁরা। একলা থাকলে সেই অসুস্থতা কখনো ভয়ানক কোনো দিকে ঠেলে দেয়, কখনো বা অনেকের ভিড়েও মানুষটিকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। মানুষটি ভাবতে শুরু করে, তাঁর মনের কথা শোনার লোক নেই।
মনোচিকিৎসক ও চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীদের কাছে জানা গেল, শুধু মন খুলে কষ্টের কথা, সমস্যার কথা বলতে না পেরে কীভাবে মানসিকভাবে অনেকে ক্ষয়ে যেতে থাকেন। নানা শঙ্কা তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে পিছু টেনে ধরে। সমাধানের পথ না পেয়ে সমস্যা আরও গুরুতর হয়। জীবনশক্তি কমতে থাকে, কাজের আগ্রহ হারিয়ে যেতে থাকে। আর বাড়তে থাকে দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। মানসিক অসুস্থতাকে কখনো মনে করা হয় দুরারোগ্য ও ব্যয়বহুল। কখনো মনে করা হয়, অযৌক্তিক সব চিন্তাভাবনা। সমস্যাগুলো কিছুই না, এগুলো এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।
মানসিক অসুস্থতার মধ্যে রয়েছে স্কিৎসোফ্রেনিয়া (সিজোফ্রেনিয়া), বাইপোলার ডিজঅর্ডার (বিষণ্নতা ও হতাশা) এবং ওসিডি (অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার)।
সব৴শেষ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৮-১৯ অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় ১৭ শতাংশ মানুষ মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন। শহরে এই হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। উদ্বেগজনিত অসুস্থতা প্রায় ৫ শতাংশ এবং বিষণ্নতাজনিত অসুস্থতা প্রায় ৭ শতাংশ। চিকিৎসাসেবার বাইরে ৯২ শতাংশ মানুষ। শহরাঞ্চলেও নারীদের মধ্যে মানসিক অসুস্থতার হার তুলনামূলক বেশি। শিশুদের ক্ষেত্রে মানসিক অসুস্থতার হার প্রায় ১৪ শতাংশ। ৯৫ শতাংশ শিশুরই চিকিৎসা হয় না।
মানুষ কেন মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা করাতে চান না, তা জানতে ২১৬ জনের ওপর এক গবেষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাসিরুল্লাহ সাইকোথেরাপি ইউনিট। দেশের ৮টি বিভাগে ১২ বছর থেকে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুর সঙ্গে ৩৩টি দলগত আলোচনা ও ২৩টি সাক্ষাৎকারে সমস্যাগুলো তুলে আনা হয়।
যুক্তরাজ্যের কমিক রিলিফ প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহায়তায় ও অ্যাকশন অন ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এডিডি) ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশের সহযোগিতায় ২০২২ সালের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত তিন ধাপে গবেষণা হয়। ‘আউটস্ট্যান্ডিং দ্য ইমপ্যাক্ট অব স্টিগমা অন পিপল উইথ মেন্টাল ইলনেস ইন বাংলাদেশ’ (বাংলাদেশে মানসিক অসুস্থতায় ভোগা ব্যক্তিদের প্রতি কুসংস্কারের প্রভাব পর্যালোচনা) শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে। গবেষণাটির প্রধান গবেষক ছিলেন ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়ায় পিএইচডি অধ্যয়নরত গবেষক প্রদ্যুৎ রায় এবং তত্ত্বাবধান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল চৌধুরী।
মানসিক অসুস্থতায় ভুগেছিলেন, গবেষণায় এমন কয়েকজন তাঁদের প্রতি মানুষের বিরূপ আচরণের কথা জানান। পরিবারের সম্মানহানির আশঙ্কায় অনেকে মানসিক অসুস্থতার বিষয়টি জনসমক্ষে আনতে চান না। তাই চিকিৎসকও দেখান না। বিশেষ করে মেয়ে হলে ‘বিয়ে হবে না’ এমন ভাবনা কাজ করে। কর্মক্ষেত্রে দেখা যায়, মানসিক অসুস্থতা ধরা পড়ার পর সুস্থ হলেও চাকরি টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে স্কুলে ভর্তি করানো কষ্ট হয়। মানসিক রোগে ভোগা অনেক নারী-পুরুষও মর্যাদাহানির ভয়ে চিকিৎসা নিতে চান না। ভয় থাকে—‘লোকজন কী বলবে। লোকজন যদি পাগল ভাবে!’
এক রোগী বলছিলেন, মানসিক সমস্যা রয়েছে এমন সদস্যকে নিয়ে পরিবার হীনম্মন্যতায় ভোগে। লোকজনের সামনে পরিচয় করিয়ে দিতে চায় না।
এক নারী রোগী বলেন, সুস্থ হয়ে ফিরে এসেও হরহামেশা নেতিবাচক কথা শুনতে হয়। চলতে–ফিরতে এমন প্রশ্ন শুনতে হয়, ‘তুমি তো পাগল ছিলে, এখন তোমার কী অবস্থা?’ এভাবে প্রশ্ন করে লোকজন তাঁদের আগের অবস্থা মনে করিয়ে দেন।
আরেক পুরুষ রোগী বলেন, ‘বিয়ে করতে গেলে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়।’
অনেক রোগী অসুস্থতার কথা স্বীকার করতে চান না। অনেকে এমনও বলেন, ‘আমি কেন পাগলের ডাক্তারের কাছে যাব? আমি কি পাগল?’
এ ছাড়া জেলা–উপজেলা পর্যায়ে সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠান নেই। ফলে অনেক পরিবার অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণেও চিকিৎসকের কাছে যায় না।
এক নারী রোগী বলেছিলেন, ‘মানসিক সমস্যা যে রয়েছে সেটা আগে মেনে নিতে হবে। নইলে চিকিৎসা সম্ভব না।’
গবেষণায় বলা হয়েছে, সমাজের অনেকে মানসিক অসুস্থতায় ভোগা ব্যক্তিদের ‘ভীতিকর কিছু’ মনে করেন। তাঁদের ধারণা, মানসিক অসুস্থতায় ভোগা ব্যক্তিরা যখন-তখন হামলা করতে পারে। কেউ কেউ মনে করেন রোগটি সংক্রামক।
গবেষণায় অংশ নেওয়া এক কর্মজীবী নারী জানান, মায়ের মাধ্যমে সন্তানের মধ্যেও মানসিক অসুস্থতা চলে আসতে পারে। তাই মানসিক অসুস্থতায় ভোগা মেয়েদের বিয়ে দেওয়া কঠিন। ফলে পরিবার মেয়েটির সমস্যা গোপন রাখে। মানসিক অসুস্থতায় ভোগা ব্যক্তিরা কাজের যোগ্যতা হারান বলে মনে করেন অনেকে।
গবেষণায় বলা হয়, অনেকে মনে করেন, মানসিক সমস্যা আসলে কোনো অসুস্থতা নয়। এটা এমনিতেই ভালো হয়। মানসিক অসুস্থতার কোনো চিকিৎসা নেই। বিয়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হতে পারে। অনেকে ঝাড়-ফুঁকে এ রোগ সারে বলে মনে করেন।
গবেষণায় এক মনোচিকিৎসক নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘মাত্র ৫ শতাংশ রোগী আমার কাছে আসেন কোনো ঝাড়-ফুঁক না করে। শিক্ষিত বা অশিক্ষিত হোন, বাকি ৯৫ শতাংশই মানসিক অসুস্থতাকে মনে করেন ‘জিন-ভূতের আছর’।
একে অন্যকে দোষারোপ, খোঁচা মেরে কথা বলা এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে এক দম্পতি বিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছিলেন। কোনো কোনো স্ত্রী স্বামীর পরকীয়া, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থাকা, পেশাগত জীবনে স্বামীর ছাড় না দেওয়া, সংসারে সময় না দেওয়া ইত্যাদি নিয়ে বিষণ্নতায় ভোগেন।
সাত বছরের এক শিশু চরম মারমুখী হয়ে উঠেছিল। কাউকে সহ্য করতে পারত না। পড়াশোনায় ছিল অমনোযোগী। মা–বাবা প্রথমে ভেবেছিলেন, ছেলে হয়তো স্কুলে সহপাঠীদের বুলিংয়ের শিকার। চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী একান্তে তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, বাড়িতে এক পুরুষ আত্মীয়ের মাধ্যমে সে নিয়মিত যৌন হয়রানির শিকার হতো।
এক কিশোরের মুঠোফোনের আসক্তি চরমে পৌঁছেছিল। মা–বাবা প্রথমে মুঠোফোন কেড়ে নিতেন। এতে কিশোর জিনিসপত্র ভাঙচুর শুরু করত।
প্রেমিক কৌশলে কিশোরী মেয়েটির নগ্ন ছবি নেয়। সেই ছবি দেখিয়ে প্রেমিক ব্ল্যাকমেল শুরু করলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মেয়েটি। মা–বাবা
পরে মেয়েটিকে মনোচিকিৎসক দেখানো শুরু করেন। বয়সভেদে এমন ভিন্ন ভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসেন রোগীরা।
গত ৭ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে নাসিরুল্লাহ সাইকোথেরাপি ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সী ব্যক্তি সেবা নিতে আসছেন। এক কিশোরীকে নিয়ে মধ্যবয়সী মা–বাবা অপেক্ষা করছিলেন। কিশোরীর মুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। বোঝাই যাচ্ছিল, তাকে জোর করে এনেছেন তার মা–বাবা। জানতে চাইলে মেয়েটির মা অস্বস্তি নিয়ে বললেন, ‘মেয়েটা পড়াশোনায় অমনোযোগী। একটু সমস্যাও আছে। তাই এসেছি।’
আরেক মা–বাবা এসেছিলেন ১৪ বছরের ছেলেকে নিয়ে। ছেলে ইংরেজি–মাধ্যম স্কুলে পড়ে। সেবা নিতে অপেক্ষায় ছিলেন কম বয়সী এক দম্পতিও।
নাসিরুল্লাহ সাইকোথেরাপি ইউনিটে শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দিনে গড়ে পাঁচজনকে সেবা দিতে পারেন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা। একক সেবার ক্ষেত্রে একেক অধিবেশনে ৮০০ টাকা এবং পরিবার ও দম্পতিদের সেবার ক্ষেত্রে ২০০০ টাকা করে ফি নেওয়া হয়।
ইউনিটের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী জোহরা পারভীন বলছিলেন, বয়স অনুযায়ী সমস্যা ভিন্ন। দম্পতিদের ক্ষেত্রে দুই বছর আগেও দেখা যেত শুধু স্ত্রীরা আসতেন। এখন স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে আসছেন। এতে পারিবারিক কাউন্সেলিং ভালোভাবে হয়।
শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা বলে, মা–বাবা তাদের বোঝেন না। শিক্ষার্থীরা প্রেমের সম্পর্কে ভাঙন, পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তা নিয়েও আসেন। ১১ থেকে ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাঁরা বিষণ্নতা-হতাশা থেকে নিজেদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসা না হলে ধীরে ধীরে ওই ব্যক্তি কর্মদক্ষতা হারিয়ে ফেলে। দীর্ঘ মেয়াদে মানসিক সমস্যা তীব্র হয়। অনেক সময় রোগী আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারেন, আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়তে পারে। তাঁকে ঘিরে পুরো পরিবারে বিষণ্নতা-হতাশা দেখা দিতে পারে।
অধ্যাপক কামাল আরও বলেন, মানসিক অসুস্থতায় ভোগা রোগীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনতে হবে। অন্যান্য রোগের মতো ভেবে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। রোগীকে মন খুলে কথা বলতে দিতে হবে। ঢাকার বাইরে কমিউনিটি পর্যায়ে কর্মী তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। কর্মীরা মানসিক রোগের ক্ষেত্রে উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে মানুষকে সচেতন করবেন।
কম খরচে সেবা পাওয়া যায় দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পাবনা মানসিক হাসপাতাল এবং ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের শিশু-কিশোর এবং পারিবারিক মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি হাসপাতালে ৮ থেকে ১০ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। রাতারাতি মনোচিকিৎসক ও চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী বানানো সম্ভব নয়। এ অবস্থায় জেলা–উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে মানসিক চিকিৎসা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। রোগ দ্রুত শনাক্ত করে চিকিৎসা দিতে না পারলে মানসিক অসুস্থতা সমাজের জন্য বড় ধরনের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।