জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিল রাজধানীর জিপিও মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিল রাজধানীর জিপিও মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে

পুলিশের বাধা পেরিয়ে শাহবাগ অবরোধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবরোধে যোগ দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার পরে দুই দফা মিছিল নিয়ে তাঁরা শাহবাগে পৌঁছান। পথে বিভিন্ন স্থানে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে বিকেল ৪টায় মিছিল বের করেন তাঁরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। পরে মিছিলের একটি অংশ ফটক ভেঙে বের হয়। পথে মিছিলটি শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, জিরো পয়েন্ট ও মৎস্য ভবনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। তবে বাধা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত শাহবাগে পৌঁছান শিক্ষার্থীরা।

এর কিছুক্ষণ পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মিছিলের আরেকটি অংশ শাহবাগে পৌঁছায়। তাতে নারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি ছিল। তাঁরাও ক্যাম্পাস ফটক, জিরো পয়েন্ট ও মৎস ভবনের সামনে বাধার মুখে পড়েন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জাকির হোসেন, শিহাব মাহমুদ, আতিক রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মেধাবীদের সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে, এ কারণে তাঁরা আন্দোলনে এসেছেন। ৫৬ ভাগ কোটায় মেধার মূল্যায়ন সম্ভব নয়। এটা অন্যায়। তাঁদের এ আন্দোলন বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে নয়, নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির আওতায় আজ বেলা সাড়ে তিনটা থেকে অবরোধের ডাক দেন আন্দোলনকারীরা। তবে বৃষ্টির কারণে কিছুটা বিলম্বের পর বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে গত রোববার ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। প্রথম দুই দিন রবি ও সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তাঁরা।

মঙ্গলবার গণসংযোগ কর্মসূচি পালনের পর গতকাল বুধবার আবার সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তাঁরা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন। তাঁদের এ কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে রাজধানী অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সারা দিনের অবরোধে সড়কে যানবাহন আটকে থাকায় দিনভর চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় রাজধানীবাসীকে।