আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ

‘কচুক্ষেত’ থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হবে না: গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ

‘কচুক্ষেত’ থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। আজ শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন। ওই কর্মসূচি থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে দিয়ে শাহবাগ হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা–কর্মীরা। সেখানে সমাবেশে বক্তারা ঘোষণা দেন, ‘কচুক্ষেত’ থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হবে না।

সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান বলেন, আওয়ামী লীগ নামে ও তাদের প্রতীক নিয়ে কাউকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। কচুক্ষেত থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হবে না।

গত ৫ আগস্টের পর দেশের শাসনক্ষমতার কাঠামো বদলে যাবে এবং রাষ্ট্রকাঠামোও বদলে যাবে বলে মন্তব্য করেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র আশরেফা খাতুন। তিনি বলেন, ‘সেনানিবাস, ভারত ও কিছু রাজনৈতিক দলের প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। যতক্ষণ আমাদের শিরায় এক ফোঁটা রক্ত থাকবে, ততক্ষণ আমরা আওয়ামী লীগকে ফিরে আসতে দেব না।’

সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুমা হৃদি বলেন, দেশের জনগণ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে নতুন বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে। কচুক্ষেত থেকে আর কোনো সিদ্ধান্ত আসবে না। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য পর্দার আড়ালে অনেক রাজনৈতিক দল কাজ করছে। তারা সংস্কার ছাড়াই ক্ষমতা দখল করতে এবং একটি নতুন ফ্যাসিবাদী কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব সাকিব আহমেদসহ অন্য নেতা–কর্মীরা।