মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব শেষ করে সদ্য অবসরে যাওয়া কবির বিন আনোয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াত রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের জায়গায় আসতে পারেন বলে সরকারি মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। চাকরি থেকে স্বাভাবিক অবসরে যাওয়ার দুদিনের মাথায় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে যান। এ সময় তাঁকে প্রয়াত এইচ টি ইমাম যে কক্ষে বসতেন, সেই কক্ষেও নিয়ে যাওয়া হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ এবং দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে কবির বিন আনোয়ারকে স্বাগত জানান। সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গেও দেখা করেন কবির বিন আনোয়ার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ পর্যন্ত কাগজপত্রে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি। তবে সরকার ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ মহল থেকে তাঁকে কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার আলোকেই তিনি আজ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে যান বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে। ওই সূত্রগুলো বলেছে, অনানুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে সমন্বয় করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেসব কাজ নিয়ে আজ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি।
কবির বিন আনোয়ার গত ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তবে যোগ দিয়েছিলেন ১৫ ডিসেম্বর। মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে মাত্র তিন সপ্তাহের কম সময় দায়িত্ব শেষ করে ৩ জানুয়ারি চাকরি থেকে স্বাভাবিক অবসরে যান। নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হয়েছেন মো. মাহবুব হোসেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, কবির বিন আনোয়ার বর্তমান সরকারের খুবই আস্থাভাজন একজন কর্মকর্তা ছিলেন। গত মাসে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সময় তিনি প্রশাসন ক্যাডারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। তখন তাঁর চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র কিছুদিন বাকি ছিল। এ অবস্থায় সরকার তাঁকে বেসামরিক প্রশাসনের শীর্ষ পদ থেকে অবসরে দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব করেছিল বলে প্রশাসনে আলোচনা আছে।
কবির বিন আনোয়ারের জন্ম ১৯৬৪ সালে সিরাজগঞ্জ জেলায়। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। ১৯৮৮ সালে সহকারী কমিশনার হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। ২০১৮ সালে জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান কবির বিন আনোয়ার। সেখান থেকে তাঁকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব দেয় সরকার।