হাইকোর্ট
হাইকোর্ট

মালিকানার পরম্পরার তথ্য আদালতে তুলে ধরল দুদক

গুলশান–২ নম্বরে অবস্থিত যে বাড়িটি আবদুস সালাম মুর্শেদী দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠছে, সেই ভূমি বা প্লটের মালিকানা হস্তান্তরের পরম্পরার তথ্য আদালতে তুলে ধরেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার ওই বাড়ির বিষয়ে চেইন অব টাইটেলের (মালিকানা হস্তান্তরের পরম্পরা) তথ্য তুলে ধরেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। পক্ষগুলোর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন রাখেন আদালত।

আবদুস সালাম মুর্শেদী সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়। রাজধানীর গুলশান-২–এ অবস্থিত পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক (বর্তমানে সংসদ সদস্য)।  প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে বাড়ি–সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এরপর রাজউক নথি দাখিল করে। পরে বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়।

আগের ধারাবাহিকতায় গত ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশে প্রশ্ন ওঠা ওই ভূমি বা প্লটের চেইন অব টাইটেল (মালিকানা হস্তান্তরের পরম্পরা) ও দখল–সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি ও কাগজপত্র যুক্ত করে পক্ষগুলোকে হলফনামা (এফিডেভিট ইন অপজিশন) দাখিল করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে অনুসন্ধান প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় নথি ও কাগজপত্র যুক্ত করে দুদককে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হলফনামা দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

৮ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে দুদকের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, সম্পত্তিটি কীভাবে হস্তান্তরিত হলো? তা আমরা দেখতে চাই। চেইন অব টাইটেল (মালিকানা হস্তান্তরের পরম্পরা) দাখিল করতে বলা হয়েছিল। যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবে আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। পরে আদালত ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য দিন রাখেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, রিটের পক্ষে আইনজীবী অনীক আর হক ও সালাম মুর্শেদীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।  

পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাড়িটির চেইন অব টাইটেল অর্থাৎ মালিকানা হস্তান্তরের পরম্পরার তথ্য আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। হলফনামা আকারে এসব তথ্য দাখিলের জন্য অনুমতি চাওয়া হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। হলফনামা আকারে চেইন অব টাইটেল সংক্রান্ত তথ্যগুলো দাখিল করা হয়েছে। আদালত শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছেন।’