বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা কার্যকরভাবে রক্ষা করতে জাতীয় সংসদকে চারটি পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আন্তরাষ্ট্র সীমান্ত অপরাধ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে এবং জাতীয় রাজস্ব আয়ে ফাঁকি প্রতিরোধ করতে সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন আদালত।
বিচারপতি আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এক মামলার রায়ে এ পরামর্শ দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার এই রায় প্রকাশ করা হয়েছে। যশোর সীমান্তে ১৯৮৭ সালে তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) চোরাচালানবিরোধী অভিযানে ভারতীয় শাড়ি উদ্ধারের এক মামলায় আসামি জাকির হোসেনকে খালাস দেওয়ার রায়ে জাতীয় সংসদকে ওই পরামর্শগুলো দেওয়া হয়।
পরামর্শগুলো হলো:
১. সীমান্তরেখা থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১০ মাইল পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সম্পত্তি ঘোষণা করা।
২. ওই ঘোষণার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সব ব্যক্তিগত সম্পত্তির মালিকদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে সমমূল্যের সরকারি খাস সম্পত্তি বরাদ্দ করা।
৩. সীমান্ত লাইন থেকে ৮ কিলোমিটার ভূমি সম্পূর্ণ ফাঁকা এবং সমান থাকবে। যেন এই ৮ কিলোমিটারের প্রতিটি ইঞ্চি ৮ কিলোমিটার দূর থেকে পরিষ্কারভাবে দেখা যায়।
৪. সীমান্ত রেখা থেকে ৮-১০ কিলোমিটার মধ্যবর্তী স্থান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের যাবতীয় স্থাপনা, প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য সংরক্ষিত রাখা।
এই রায় ও আদেশের অনুলিপি জাতীয় সংসদের সব সংসদ সদস্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক ও অধস্তন আদালতের সব বিচারককে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।