ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা নিয়ে তথ্যের ঘাটতির কারণে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বরা বিবৃতি দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ইন্দোনেশিয়া সফর উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো চাপ মনে করি না। আমরা মনে করি, এখানে তথ্যগত ঘাটতি আছে। বড় নেতাদের হয়তো কেউ বলেছে, বাংলাদেশ এ রকম নামীদামি লোককে হয়রানি করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হয়তো তাঁরা বিবৃতি দিয়েছেন। এখানে বোধ হয় তথ্যের ঘাটতি আছে, অজ্ঞতার কারণ আছে।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘অনেকে মনে হয় মনে করছেন রাজনৈতিক কারণে কিংবা অন্য কোনো কারণে হয়রানি করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা যত দূর জানি, মামলাগুলো সরকার করেনি। আমরা আশা করব যে যাঁরা চিঠি লিখেছেন, তাঁরা বিষয়টা আরও জানবেন এবং তাঁরা যদি জানতে চান, তাহলে আমরা অবশ্যই তথ্যগুলো পৌঁছে দেব।’ তিনি বলেন, ‘আমরা নিজ উদ্যোগে এর ওপর কোনো মন্তব্য করব না। এগুলো আইনি বিষয়। আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমরা সম্মান করি একজন বিখ্যাত নোবেল লরিয়েট হিসেবে। তিনি আমাদের জন্য সম্মান নিয়ে এসেছেন। বড় বড় বিদেশি নেতারা যদি আমাদের বলেন, মামলা তুলে নাও, এটি আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’
প্রসঙ্গত, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে খোলাচিঠি পাঠান বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে শতাধিক নোবেল বিজয়ীও রয়েছেন।